সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবুল কালাম আজাদ, তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন ও ছেলে ফজলে রাব্বি রিয়নের বিরুদ্ধে পৃতক ৩টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদক পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর বাদী হয়ে মামলা ৩টি দায়ের করেছেন। আসামিরা সবাই বর্তমানে পাবনা সদর হাসপাতাল রোডে বসবাস করছেন। তারা সুজানগর উপজেলার হাসামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, শাহজাদপুরে কর্মরত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৯ লাখ ৪২ হাজার ২৪০ টাকা মূল্যের তথ্য গোপন করেছেন। এ ছাড়াও ১ কোটি ৩২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
পিআইও’র স্ত্রী মর্জিনা খাতুনের মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, স্বামী আবুল কালাম আজাদের ১ কোটি ৫৬ লাখ ৮৩ হাজার ৪৮৩ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখেছেন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনে স্বামীকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে কারণে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
পিআইও’র ছেলে ফজলে রাব্বি রিয়নের মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, পিতার অবৈধ আয় দ্বারা ১ কোটি ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯৪১ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখেছেন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনে প্রত্যক্ষভাবে পিতাকে সহায়তা করেছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে কারণে বাবা ও ছেলে উভয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলার কথা শুনেছি। কিন্তু এখনো কোনো কপি হাতে পাইনি।