পঞ্চগড় সদর উপজেলার ভিতরগড় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিনের নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে দুই দেশের সেক্টর কমান্ডাররা বৈঠক করেছেন।
সোমবার (১০ মার্চ) বিকেলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গোলাম রব্বানি এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন শিলিগুড়ি সেক্টর কমান্ডার শ্রী পি কে শিং।
বৈঠক শেষে কর্নেল গোলাম রব্বানি বলেন, বিনা বিচারে সীমান্তে গুলি করে হত্যা করা একটি নৃশংস এবং অমানবিক কাজ, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
তিনি আরও বলেন, গত ৮ মার্চ আল আমিনকে সীমান্তে নিবৃত্ত করার সময় প্রাণঘাতী অস্ত্রের পরিবর্তে অপ্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারতো, কিংবা তাকে আইনের আওতায় সোপর্দ করা যেত। বিজিবিকে জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যেত। আমরা এই হত্যাকাণ্ডকে কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারি না।
গোলাম রব্বানি জানান, বিএসএফ আমাদের জানিয়েছে- ৮ মার্চ রাতে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি চোরাকারবারি দল ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করেছিল এবং বিএসএফ জোয়ানদের আক্রমণের পর আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়া হয়।
তবে কর্নেল গোলাম রব্বানি দাবি করেন, সীমান্তে গুলি চালানোর ঘটনা এখনও একেবারে শূন্যের কোঠায় আনতে তারা বিজিবি পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন এবং সীমান্তে টহল ও জনবল বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (৮ মার্চ) ভোরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আল আমিন (৩৬)। তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের জিন্নাত পাড়া এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে।