চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬শ মিটার সড়কে দুর্ভোগ

0

মাত্র ৬শ মিটার সড়ক ১১ বছর ধরে সংস্কার না করায় খানা-খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় ওই পথে চলাচলকারী ৬০ হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের অধীন পাওয়ার হাউজ মোড় থেকে ফায়ার সার্ভিস মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি প্রায় ১১ বছর আগে সংস্কার করা হয়েছিল। গত ৪ বছর ধরে সড়কটি অযত্ন-অবহেলায় এখন চরম বেহালদশায় রয়েছে। সড়কটি জেলার তিন উপজেলার প্রবেশমুখ হওয়ায় প্রতিদিন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ চলাচল করেন ওই রাস্তায়। বর্তমানে সড়কটির পিচ উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বর্ষাকালে রাস্তাটি কাদা-পানিতে ডুবে থাকে আর খরার সময় ধুলাবালিতে থাকে পরিপূর্ণ।

এছাড়া কোন রোগী ওই রাস্তায় চলাচল করলে তাকে পোহাতে হয় নানা রকম ঝুঁকি। অন্যদিকে রাস্তার পাশের দোকানিরা ধুলাবালুর হাত থেকে বাঁচতে প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার পৌরসভার পানি রাস্তাটিতে ফেলছেন। তবে রাস্তাটি সংস্কারে কয়েকবার মাপা হলেও গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কারে কার্যত কিছুই চোখে পড়ছে না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা রাস্তাটি চলাচল উপযোগী করার আশ্বাস দিলেও তাদের আশ্বাসেই ঘুরপাক খাচ্ছে রাস্তাটির ভবিষ্যত, কারণ দৃশ্যমান কিছুই দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে বিভিন্ন সময় সড়কটিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার পক্ষ থেকে ভরাট ফেলা হয়েছিল। যদিও গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি জেলা পরিষদের। রাশিদুল ইসলাম নামে এক পিকআপচালক বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মধ্যে ঢোকার জন্য এই রাস্তাটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। ফলে রাস্তাটিতে যাতায়াতে অনেক  সময় গাড়ির নাটবল্টু খুলে পড়ে।

অপরদিকে আলম নামে এক পথচারী জানান, রাস্তাটিতে যাতায়াতের সময় রিকশা-অটোরিকশার যাত্রীরা দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়েই এই পথে যাতায়াত করেন। আর সড়কটিতে যাতায়াতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন অন্তস্বত্ত্বা নারীরা।

এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আফাজ উদ্দিন জানান, জেলা পরিষদের এই রাস্তাটি সংস্কার করতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন সে পরিমাণ অর্থ বাজেটে সঙ্কুলান হবে না। যার কারণে রাস্তাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে ন্যস্ত করতে আবেদন করা হয়েছে।

অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সানজিদা আফরিন ঝিনুক বলেন, শহরের পাওয়ার হাউজ মোড় থেকে ফায়ার সার্ভিস মোড় পর্যন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি আমাদের ন্যস্ত করতে আবেদন করেছে জেলা পরিষদ। পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে রাস্তাটির মালিকানা পরিবর্তনের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে এই রাস্তাটি গেজেট আকারে অনুমোদন হয়ে আসলে সংস্কারের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হবে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here