ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষায় বড় সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের

0

ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য বড় ঘোষণা দিল যুক্তরাজ্য। 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার রবিবার এই ঘোষণা দিয়ে বলেন, ইউক্রেনকে নতুন ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন পাউন্ড (২ বিলিয়ন ডলার) এক্সপোর্ট ফিনান্স প্যাকেজ সরবরাহ করা হবে। এর আওতায় পাঁচ হাজার বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে পারবে ইউক্রেন।

ইউক্রেন নিয়ে প্রতিরক্ষা সম্মেলনের পর স্টারমার ইউরোপীয় শক্তিগুলোকে আলোচনার বাইরে গিয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব ‘ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে’ দাঁড়িয়ে আছে।

সেন্ট্রাল লন্ডনের ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে বক্তব্য রাখার সময় স্টারমার ইউক্রেন যুদ্ধ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের পাশাপাশি ‘ইচ্ছুকদের জোটে’ যোগ দিতে ইউরোপীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ওভাল অফিসে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি সমর্থন জোরদার করতে রবিবার ইউরোপীয় নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে ব্রিটেন।

নেতারা ইউক্রেনকে সমর্থন এবং ইউরোপের প্রতিরক্ষা জোরদার করার দিকে মনোনিবেশ করায় লন্ডনে এই বৈঠকটি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এই ইস্যুতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এক ডজনেরও বেশি নেতা ও কর্মকর্তাকে স্বাগত জানান। তিনি জেলেনস্কির আগমনের পরে তাকে আলিঙ্গন করেন এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

স্টারমার ঘোষণা দেন যে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং ইউক্রেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উপস্থাপনের জন্য একটি যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা বিকাশে সম্মত হয়েছে। তিনি বলেন, হোয়াইট হাউস বিরোধের পর নেতাদের মধ্যে আলোচনা থেকে এই প্রস্তাব উঠে এসেছে।
এর আগে শনিবার কিয়েভের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য ইউক্রেনকে ২২৬ কোটি পাউন্ড (২ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার) ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর রাচেল রিভস এবং ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী সের্গেই মার্চেঙ্কো এই ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।

ব্রিটেন বলেছে, জি-৭ দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ৫০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজের অংশ হিসেবে ফ্রোজেন রাশিয়ার সম্পদ থেকে লাভের মাধ্যমে কিয়েভকে এই ঋণ দেওয়া হবে। সূত্র: রয়টার্স, এপি, কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here