অনেকের মুখে এখনও ঠিকমতো কথা ফোটেনি। একবার উত্তরে দৌড় দেয় তো আরেকবার দক্ষিণে। দুরন্তপনায় একেকজন যেন উসাইন বোল্ট। তারা এখন গাছের যত্ন নিতে শিখছে। কেউ গাছে পানি দিচ্ছে। তারা নিজের গাছকে বড় করার স্বপ্নে এখন বিভোর।
এই দৃশ্য দেখা গেল কুমিল্লা নগরীর দ্বিতীয় মুরাদপুর এলাকার শিশুর আনন্দ শিক্ষাঘরে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় মুরাদপুর এলাকায় ব্যতিক্রমী শিশুর আনন্দ শিক্ষাঘর। সেখানে শিশুদের মাঝে টবসহ গাছের চারা বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিটি টবের গায়ে নাম লেখা। জারিশা, তাহিয়া,আনাফ ও রাকিনসহ নানা নাম।
টবে বিভিন্ন ফুল, ফল ও সবজির চারা লাগানো হয়েছে। স্কুলের পরিচালক রফিকুল ইসলাম সোহেল, শরিফুজ্জামান মিঠু, সহকারী শিক্ষক সাহিদা বেগম, বুড়িচং সালাফি নার্সারির পরিচালক ফেরদৌসুল আলম ও কৃষি উদ্যোক্তা হুমায়ুন কবির শিশুদের গাছ লাগানো দেখিয়ে দিচ্ছেন। কেউ দেখাচ্ছেন পানি দেয়া।
জারিশা, তাহিয়াসহ কয়েকজন ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাক্যে বলেন,তারা গাছ পেয়ে খুব খুশি। গাছে পানি দিতে তাদের ভালো লাগে।
অভিভাবক রুবিনা আক্তার প্রীতি ও কাজী জয়নব ইসলাম সাথী বলেন, এটি ভালো উদ্যোগ। শিশুরা খেলতে খেলতে গাছের যত্ন নিতে শিখছে। এতে তারা পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে উঠবে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শিশুদের জীবন ঘনিষ্ঠ শিক্ষা দিতে চাই। তারা গাছে পানি দিচ্ছে, যত্ন করছে খেলার ছলে। এতে তাদের মধ্যে সবুজের প্রেম জাগ্রত হবে।’