২০২১ সালে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সুদানের বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকে সেনাবাহিনীর জেনারেলরা ‘স্বাধীন কাউন্সিলের’ নামে দেশ চালাচ্ছিলেন।
এই স্বাধীন কাউন্সিলের প্রধান জেনারেল আব্দেল ফাতাহ আল-বুরহান। উপপ্রধান ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, দুই বাহিনীর মধ্যে মূলত ক্ষমতার দখল নিয়ে লড়াই হচ্ছে। ১ লাখ প্যারা মিলিটারি সদস্যকে সেনাবাহিনীতে সংযুক্ত করা হবে। কিন্তু এটার পর সেনাবাহিনীর প্রধান থাকবেন কে সেটা নিয়ে মূলত দ্বন্দ্ব।
সুদানে দুই বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে তাদের শক্তিমত্তা নিয়ে আলোচনা চলছে। মোহাম্মদ আলআমিন আহমেদ নামে সুদানের একজন সামরিক বিশ্লেষক আল জাজিরাকে বলেন, সংঘর্ষের প্রথম ঘণ্টাগুলোতে আরএসএফের প্রাধান্য ছিল। তিনি বলেন,‘ তারা (আরএসএফ) বিমানবন্দর এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ নেয়। সেনাপ্রধান বুরহানের বাসাও দখলে নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল তারা।
সুদানের এই সামরিক বিশ্লেষক বলেন, এরপর সেনাবাহিনী হামলা প্রতিরোধ শুরু করে। তারা পাল্টা বিমান হামলা শুরু করে। আর এর মাধ্যমে পরিস্থিতি আয়ত্তে নিয়ে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করে। সমরবিশ্লেষক আলআমিন বলেন, ‘প্যারামিলিটারির কোনো বিমানবাহিনী নেই। ব্যাপক সংখ্যক যোদ্ধা নিয়ে তারা সম্মুখযুদ্ধে শক্তিশালী।’