ভালুকার মাটি লেবু চাষের জন্য বেশ উপযোগী। বিচিবিহীন লেবু গাছ ফলন দেয় বছরজুড়ে। তাছাড়া লেবু গাছ বৃষ্টি সহনীয় ও লাভজনক হওয়ায় এখানকার কৃষকরা ঝুঁকেছেন লেবু চাষের দিকে। শুধু লাভজনক বা সফলতাই নয়, লেবু উৎপাদনে রিতিমত বিপ্লব ঘটিয়েছে এ এলাকার কৃষকরা। ফলে হাসি ফুটে উঠেছে প্রান্তিক লেবু চাষিদের মুখে।
উপজেলার মল্লিকবাড়ি, ডাকাতিয়া, আঙ্গারগাড়া, চাঁনপুর, সোনাখালি, পাঁচগাঁও, হবিরবাড়ির সিডষ্টোর, পাড়াগাঁও, তালাবর, কাচিনা এলাকার প্রায় বাড়িতেই লেবুর বাগান রয়েছে। গ্রামগুলোতে প্রবেশ করলেই বাতাসে লেবুর সুবাস বিমোহিত করে সবাইকে। সবুজ গাছের কাঁচাপাকা লেবুর এ যেন এক সাম্রাজ্য। সরেজমিন ঘুরে ও লেবু চাষিদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
লেবু চাষে সফলতা পাওয়া স্থানীয় কৃষক মোফাজ্জল হোসেন জানান, বাড়ির পাশে বিচিবিহীন জাতের লেবু তিনি আট বিঘা জমিতে চাষ করেন। এ জাতের লেবু বারমাস ফলন দেয়। তার বাগান থেকে একদিন অন্তর অন্তর প্রায় তিন হাজার লেবু বাজারজাত করা হয়। এখন লেবুর দাম বেশ চড়া। তিনি বর্তমানে একদিন পর পর সে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার লেবু বিক্রি করেন। স্থানীয় পাইকররা এই লেবু ভালুকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারের রপ্তানি করে থাকে।
সোনাখালী গ্রামের কৃষক ইউসুফ হোসেন নিলয় বলেন, তিনি দুই বিঘা জমিতে লেবু চাষ করে ৪ বছরে প্রায় ১৫ লাখ টাকা আয় করেন। এলাকায় তার দেখাদেখি আরো শতাধিক লেবু বাগান বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে। তারাও জানালেন লেবু চাষের সফলতার কথা।
লেবু ব্যবসায়ী মাইন উদ্দিন জানান, আমরা ক্ষেত থেকে লেবু কিনে আড়তে বিক্রি করি এতে আমাদেরও ভালো লাভ হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন জাহান জানান, ভালুকায় ১ শত ৮০ হেক্টর জমিতে সিডলেসসহ বিভিন্ন জাতের লেবু চাষ করা হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে কৃষকের যথাযত মনিটরিং করাসহ সব ধরনের সহযোগীতা দেয়া হচ্ছে। দিন দিন লেবু চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভালুকার উৎপাদিত লেবু স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশে বিভিন্ন বাজারে রপ্তানি করা হচ্ছে।