সেভিয়া ছেড়ে আসার পর থেকেই অনিশ্চয়তার মোড়ে ছিল সের্হিও রামোসের ক্যারিয়ার। অবশেষে সাত মাসের টানাপোড়েন কাটিয়ে নতুন অধ্যায়ের সামনে এই ডিফেন্ডার। রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তির নতুন ঠিকানা মেক্সিকোর ক্লাব মন্তেরেই।
এক বছরের চুক্তিতে মন্তেরেইতে যোগ দিচ্ছেন ৩৮ বয়সী ডিফেন্ডার। নতুন আঙ্গিকের ক্লাব বিশ্বকাপে মেক্সিকোর যে তিনটি ক্লাব খেলবে এর মধ্যে আছে মন্তেরেই। গত জুনে সেভিয়া ছাড়ার পর থেকে ক্লাববিহীন ছিলেন রামোস। এরপর বিভিন্ন ক্লাবে তার নাম লেখানোর সম্ভাবনা নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে। ক্যারিয়ার শেষের গুঞ্জনও ছিল। নতুন চুক্তি করে তিনি জানিয়ে দিলেন, পথের শেষ নয় এখনই।
১০ বছর বয়সে সেভিয়ার একাডেমিতে যোগ দিয়ে সাত বছর পর এই ক্লাবের হয়েই পেশাদার ফুটবলে পা রাখেন রামোস। তবে তিনি পরিচিত পান রিয়ালের রামোস হিসেবেই। ২০০৫ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর দ্রুতই দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠেন। পরে ক্রমেই হয়ে ওঠেন দলটির প্রতীক। বরাবরই তিনি ছিলেন দলের নেতা, পরে আনুষ্ঠানিকভাবে অধিনায়কের দায়িত্ব পান। পাঁচটি লা লিগা, চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, চারটি ক্লাব বিশ্বকাপসহ রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তিনি জিতেছেন ২২টি ট্রফি।
১৬ বছর রিয়ালে কাটিয়ে ২০২১ সালে তিনি যোগ দেন পিএসজিতে। সেখানে দুই বছরে দুইটি লিগ জিতে ফিরে আসেন শৈশবের ক্লাব সেভিয়ায়। গোধূলিবেলায় এসে প্রথমবার তিনি পাড়ি জমাচ্ছেন ইউরোপের বাইরে। স্পেনের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড তার। জিতেছেন ২০১০ বিশ্বকাপ ও দুইটি ইউরো। এমন একজন কিংবদন্তিকে পেয়ে মন্তেরেই ক্লাবের রোমাঞ্চ ফুটে উঠেছে তাদের বিবৃতিতে।
ক্লাবটি জানায়- “বিশ্ব ফুটবলের ঐতিহাসিক এক ডিফেন্ডার, রেয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজির হয়ে অনেক শিরোপাজয়ী, স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার, মন্তেরেই ফুটবল ক্লাবে স্বাগত। আপনার নেতৃত্ব, মান ও জয়ী মানসিকতা এই নীল-সাদা জার্সিকে নিয়ে যাবে নতুন উচ্চতায়।”
২০১৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদের ‘লা দেসিমা’ জয়ে ৯৩তম মিনিটে স্মরণীয় সেই গোলটি তো রামোসের ক্যারিয়ারের প্রতীক হয়ে আছে। নতুন ক্লাবে তার জার্সি নম্বরও ‘৯৩।’ মন্তেরেইয়ের সভাপতি হোসে আন্তোনিও নরিয়েগা উচ্ছ্বসিত হয়ে জানালেন, অনেক দিন ধরেই রামোসকে পেতে তারা মরিয়া ছিলেন।