ড্রাফট থেকে নাজমুল হোসেন শান্তকে দলে টেনেছিল ফরচুন বরিশাল। এরপর শুরুর দিকে কিছু ম্যাচে সুযোগ মিললেও শান্তকে এবারের বিপিএলে বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয়েছে বেঞ্চে বসে। সামনেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার আগে জাতীয় দলের অধিনায়কের বেঞ্চে বসে মাঠের ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার বিষয়টি নেতিবাচক হিসেবেই দেখছেন অনেকে।
বিপিএল ফাইনালের পরেও এই বিষয়ে প্রশ্ন নিতে হয়েছে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, শান্তর নিবেদনই বরিশালের জয় সহজ করেছে।
গতকাল শিরোপা জয়ের পর তামিম বলেন, ‘শান্তর ব্যাপারে বলি, জাতীয় দলের অধিনায়ক, দেশের সেরা ক্রিকেটারদের একজন কিন্তু আমাদের কম্বিনেশনের কারণে বেশি খেলার সুযোগ পায়নি। কিছু দিন আগেও বলেছি, খেলার প্রতি, দলের প্রতি তার নিবেদন ছিল দুর্দান্ত। আমি জানি, তার জন্য না খেলাটা অনেক অনেক কঠিন ছিল। তবে ও সেটা দেখায়নি, যা আমাদের কাজ সহজ করেছে।’
পরে বাকিদের নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমি দু’বার ট্রফি জিতেছি। হৃদয়ের কথা যদি চিন্তা করেন, সে সম্ভবত দুই-তিনটি ফাইনাল খেলেও ট্রফি জিততে পারেনি। নাজমুলের ক্ষেত্রেও একই। এই ট্রফি তাদের কাছে আমার তুলনায় অনেক বেশি মূল্যবান, অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং রিশাদের ক্ষেত্রেও। তাই আমার মনে হয়েছে, আমি হয়তো ওদের এই সম্মানটা দিতে পারি যে, ট্রফিটা ওরা নিজের হাতে তুলুক।’
মুশফিকুর রহিম এবং দলটির মালিককে নিয়ে তামিম বলেন, ‘বরিশালের ফ্র্যাঞ্চাইজি দারুণ, মালিকের ব্যাপারে বলব ক্রিকেট নিয়ে কোনো কথাই বলে না। কে খেলবে আসতেসে আসতেসে না। তিনি আমাকে সব দায়িত্ব দিয়েছেন। এই ধরনের মানুষ ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকলে ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়ে যাবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের কথা বলব না আমি, সব মিলিয়ে ক্রিকেটের সঙ্গে তাদের যুক্ত থাকা প্রয়োজন।’
এরপরেই মুশফিকুর রহিমের ভূমিকার প্রশংসা করেন তামিম, ‘মুশফিককেও অনেক কৃতিত্ব দিতে হবে। যেভাবেই এই ফ্র্যাঞ্চাইজি কাজ করে, অফ ফিল্ডে আমি সব কিছু দেখাশোনা করি। পেমেন্ট সবাই পাচ্ছে কিনা। মুশফিক অন ফিল্ডে কাজ করেছে। যদিও আমাদের সিইও দারুণ।’