শঙ্কাটাই হলো সত্য। চিটাগাং কিংসের ফাইনালে ওঠার নায়ক ছিলেন রহস্যময় স্পিনার আলিস আল ইসলাম। তাকেই রাখা গেল না ফাইনালের শুরুর একাদশে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে শেষ ওভারে রান নিতে গিয়ে তিনি পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন। সেখান থেকে আর সুস্থ হয়ে ফাইনালের জন্য ফিট হতে পারলেন না এই রহস্য স্পিনার।
দলের নির্ভরযোগ্য এই খেলোয়াড়কে ছাড়াই ফাইনালে নামছে চিটাগাং কিংস। তার বদলে দলে যুক্ত হলেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার নাঈম ইসলাম। ফাইনালে টস হেরে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করবে বন্দরনগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
আলিস আল ইসলামের চলতি আসরটা ফাইনালের আগপর্যন্ত ছিল দুর্দান্ত। ১৩ ম্যাচ খেলে নিয়েছিলেন ১৫ উইকেট। প্রতি ২১ রানের বিপরীতে পেয়েছেন একটি করে উইকেট। ব্যাট হাতে লোয়ার অর্ডারেও রেখেছেন ভূমিকা।
গত ম্যাচেই খুলনার বিপক্ষে ছিল তার ১৭ রানের ম্যাচ জেতানো এক ক্যামিও। বিপিএল ক্যারিয়ারের ৩১ রানের মাঝে ৩০ রানই নিয়েছেন এবারের আসরে। তবে বোলার আলিসকেই বেশি মিস করবে চিটাগাং কিংস। সেটা একপ্রকার অবধারিত।
এর আগে আজ সকালেই চিটাগাং কিংসের একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে জানায়, শেষ বিকেল পর্যন্ত আলিসের জন্য অপেক্ষা করবে দল। টিম ম্যানেজমেন্ট চায়, আলিস খেলুক। যদিও এই জন্য ঝুঁকি নিতে রাজি নয় তারা। শেষপর্যন্ত অবশ্য অপেক্ষার প্রহর পেরিয়ে হতাশই হতে হচ্ছে চিটাগাং কিংসকে।
চিটাগাং কিংস একাদশ : খাজা নাফি, পারভেজ হোসেন ইমন, গ্রাহাম ক্লার্ক, মোহাম্মদ মিঠুন (অধিনায়ক), হুসাইন তালাত, শামীম হোসেন, খালেদ আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, নাঈম ইসলাম, আরাফাত সানি ও বিনুরা ফার্নান্দো।
ফরচুন বরিশাল একাদশ : তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, ডেভিড মালান, কাইল মায়ের্স, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ নবী, রিশাদ হোসেন, এবাদত হোসেন, তানভীর ইসলাম ও মোহাম্মদ আলি।