লাকসামে বোরো ধানে ‘নেকব্লাস্ট’ আক্রমণ, ফলন নিয়ে শঙ্কা

0

কুমিল্লার লাকসামে বোরো ধানে ক্ষতিকর ‘নেকব্লাস্ট’ রোগের কারণে প্রত্যাশিত ফলন নিয়ে কৃষকরা শঙ্কায় পড়েছেন। ধানে চাল আসার আগেই ছড়াগুলো পুড়ে লালচে হয়ে ঝরে পড়ছে। কোথাও সাদা পাউডারের মতো হয়ে যাচ্ছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো সুফল না পাওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, লাকসামের ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ৮ হাজার ৭০৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এতে কৃষি ব্লক রয়েছে ২২টি। এর মধ্যে ‘নেকব্লাস্ট’ রোগে আক্রান্ত প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমি। তবে কৃষকদের দেয়া তথ্য মতে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো অনেক বেশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের অভিযোগ, চলতি বছর কৃষকরা ব্রি ২৮, ২৯ জাতের ধান জমিতে না করে ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাতসহ নতুন জাত ব্রি ধান ৭৪, ৮৮, ৮৯, ৯২ জাতের আবাদের জন্য জমি আবাদের আগেই উপজেলা কৃষি অফিস থেকে লিফলেট ও পরার্মশ দেয়া হয়েছিল।

কৃষকদের পাল্টা অভিযোগ, উপজেলায় ইউনিয়ন ভিত্তিক কৃষি অফিসের লোকজন থাকলেও তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের তেমন পরামর্শ দেন না।

লাকসাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম বলেন, ব্রি ধান-২৮, ২৯ জাতের বোরো ধানে ‘নেকব্লাস্ট’ রোগের আক্রমণ বেশি হওয়ায় রোগ প্রতিকারের জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ব্লাস্ট আক্রমণের পূর্বেই কৃষকদের নাটিভো, ফিলিয়া, সেলিমা, এডিফেন, ব্লাস্টিন, দিবা, এমিস্টার টপ, ট্রুপার প্রভৃতি বালাইনাশক অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করার পরামর্শ দিচ্ছে। যে কোন প্রয়োজনে তিনি নিজেও কৃষকদের যাবতীয় পরামর্শ দিতে প্রস্তুত বলে জানান।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here