অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কুইন্সল্যান্ডে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির সরকার। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ভয়াবহ এই বন্যার কারণে যে অস্বাভাবিক ক্ষতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধারে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, গত সপ্তাহে তিনদিনে কুইন্সল্যান্ডের বিভিন্ন অংশে ৫৯ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়, যা ঐ অঞ্চলের ছয় মাসের বৃষ্টিপাতের সমান। অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় সেখানে বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, খামার এবং রাস্তাঘাট ডুবে যায়।
কুইন্সল্যান্ড রাজ্যপ্রধান ডেভিড ক্রিসাফুলি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অবিশ্বাস্য। গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য টাউনসভিল অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে।
ক্রিসাফুলি জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম এবিসি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বন্যা পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি পুনরুদ্ধারে কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে, এমনকি মাসও গড়িয়ে যেতে পারে।
উদ্ধারকারী নৌকা ডুবে গেলে রবিবারের বন্যায় উত্তরের ইংহামে ৬৩ বছর বয়সি এক নারী মারা যান। এরগন এনার্জি বলছে, উত্তর কুইন্সল্যান্ডের প্রায় ৮০০০ স্থাপনা এখন বিদ্যুৎ বিহীন।
বিদ্যুতের পুনঃসংযোগ কখন দেওয়া হবে সে বিষয়েরও কোনো সময়সীমা নেই।
জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বিজ্ঞানীরা সতর্কবাণী দিয়েছেন যে এখন থেকে যখন তখন তাপপ্রবাহ, অস্বাভাবিক বন্যা, খরা এবং দাবানলের দেখা মিলবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বন্যায় এখন পর্যন্ত এক নারীর প্রাণহানি ঘটেছে। রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন মধ্যে টাউনসভিল, ইনহাম এবং কার্ডওয়েলের বাসিন্দারা। জরুরি অবস্থার কারণে হাজার হাজার লোককে সরিয়ে নিতে হচ্ছে, বাড়ি-ঘরের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের কিছু অংশে পানি ওঠার পর বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর কাছে সহায়তা পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।