নাগরিকদের খাদ্য-পানি মজুতের পরামর্শ দিয়েছে ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়া।
রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে যাচ্ছে দেশটি। আগের মতো বিদ্যুতের জন্য মস্কোর ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল থাকবে না তারা। এতে কাঁটছাঁট করতে যাচ্ছে দেশটি। বিদ্যুৎ ইস্যুতে আর রাশিয়া সহযোগিতা চাইবে না তারা।
এমনকি আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্রেমলিন থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করবে না এস্তোনিয়া। এর জেরে নাগরিকদের খাদ্য, পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও মোমবাতি বা লাইট মজুতের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার।
রুশ সম্প্রচার মাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাটভিয়া ও লিথুনিয়ার প্রতিবেশী এস্তোনিয়া সামরিক জোট ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য। মস্কোর সঙ্গে জ্বালানি সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইউরোপীয়ান ইলেকট্রিসিটি গ্রিডে যুক্ত হতে যাচ্ছে দেশগুলো। এর জেরে সতর্কবার্তা দিয়েছে এস্তোনিয়ার রিস্ক প্রিভেনশন ব্যুরো।
এস্তোনিয়ার শহরগুলোতে পানি সরবরাহকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান টার্তু ওয়াটারওয়ার্কসের প্রধান টুমাস ক্যাপের মতে, ইউরোপীয়ান পাওয়ার গ্রিডের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সময় ক্যাবল ব্যর্থতা বা সাবস্টেশনে আগুন লাগার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে করে বিদ্যুতহীন হয়ে যেতে পারে লাখ লাখ মানুষ।
আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাল্টিক দেশটি বর্তমানে বিআরইএলএল পাওয়ার গ্রিডে যুক্ত যেটি কি না বেলারুশ, রাশিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুনিয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এ গ্রিডের নেটওয়ার্ক মস্কোরই সাজানো। ২০০১ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে বিআরইএলএল পাওয়ার গ্রিড তৈরি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী, জরুরি প্রয়োজনে চুক্তিভুক্ত দেশগুলো একে অপরকে বিদ্যুৎ দিয়ে সাহায্য করবে।
বিআরইএলএল থেকে বের হলে বিদ্যুৎ নিয়ে ঝামেলা হতে পারে বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টেন মিচাল। তিনি বলেছিলেন, সবচেয়ে খারাপ কিছু হলে নাগরিকেরা ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাবে না।
বিআরইএলএল থেকে বের হয়ে ইউরোপীয়ান পাওয়ার গ্রিড বা ইএনটিএসও-ইতে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত ২০১৮ সালেই নেয় এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুনিয়া। পোল্যান্ড হয়ে ইউরোপীয়ান পাওয়ার গ্রিডে যুক্তের জন্য চলতি মাসে পরীক্ষা চালাবে এস্তোনিয়া।