যশোরের ঝিকরগাছায় এক নারীর (৪৫) মাথার চুল কেটে মুখে কালি মাখিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে। এর আগে ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
গ্রেফতাররা হলেন- ঝিকরগাছার বেনেয়ালি কলাবাগান এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে শিমুল হোসেন, পদ্মপুকুর গ্রামের ইব্রাহীম খলিলের স্ত্রী শারমিন আক্তার রুমি, বেনেয়ালি গ্রামের মফিজুর ড্রাইভারের স্ত্রী রনি বেগম ও পদ্মপুকুর গ্রামের মুকুল বিশ্বাসের স্ত্রী রহিমা।
ঝিকরগাছা থানার ওসি মো. বাবলুর রহমান খান বলেন, ভিকটিম (ফজিলা চম্পা, ৪৫) তার সাবেক পুত্রবধূর সাথে দেখা করতে তার নতুন স্বামীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। এসময় ওই বাড়ির লোকজন তাকে আটকে মাথার চুল কেটে দেয় ও মারধর করে। এ ব্যাপারে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা হলে পুলিশ চার আসামিকে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতে সোপর্দ করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ভুক্তভোগী ওই নারী অভিযোগ করেছেন, রবিবার বিকেলে বেনেয়ালি গ্রামে সাবেক পুত্রবধূকে দেখতে গেলে সাবেক পুত্রবধূর বর্তমান স্বামী শিমুল হোসেন, চাচি শারমিন আক্তার রুমি, চাচি শাশুড়ি রনি বেগম, মা রহিমা বেগমসহ ৬ জন তার মাথার চুল কেটে মুখে কালি মাখিয়ে দেয়। এসময় তারা বাশের লাঠি দিয়ে মারধরও করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ির পিলারের সাথে বেঁধে রাখে। পরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করে তারা। তাকে নির্যাতনে সময় বেশ কয়েকজন ভিডিও করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।
ঝিকরগাছার গদখালি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আবুল কাশেম বলেন, তাবিজ-কবজ করার সন্দেহে ওই নারীকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে বলে শুনেছি। এভাবে একজন মানুষকে নির্যাতন করা ঠিক হয়নি। পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করেছে।