কাতারের প্রধানমন্ত্রী ইসরায়েল ও হামাসকে গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা অবিলম্বে শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আলোচনা কখন শুরু হবে সে সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট পরিকল্পনা এখনও নেই।
রবিবার কাতারের রাজধানী দোহায় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে যৌথভাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি বলেন, ‘আমরা (হামাস ও ইসরায়েল) দাবি করছি যে চুক্তিতে উল্লেখিত শর্ত অনুসারে অবিলম্বে আলোচনা করা হোক।”
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের ১৬তম দিনের আগে অর্থাৎ সোমবার চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়নের জন্য আলোচনা শুরু হওয়া উচিত।
গত মাসে ইসরায়েল ও হামাস একটি তিন-পর্যায়ের চুক্তিতে পৌঁছেছে। যা গাজায় যুদ্ধ আপাতত থামিয়ে দিয়েছে। ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী শত শত ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে হামাস এখন পর্যন্ত ১৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।
গাজায় এখনও ৭০ জনেরও বেশি জিম্মি রয়েছে।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে হামাস গাজায় বন্দী থাকা বাকি সকল জিম্মিকে মুক্তি দেবে, শত্রুতার স্থায়ী অবসান ঘটাবে এবং উপত্যকাটি থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি বলেন, “প্রতিনিধিরা কোথায় আসবেন এবং কখন তা অনুষ্ঠিত হবে সে সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।”
তিনি বলেন, মধ্যস্থতাকারীরা হামাস ও ইসরায়েলের সাথে ফোনে কথা বলেছেন এবং কাতার পরবর্তী পর্যায়ের আলোচনার জন্য একটি এজেন্ডা নির্ধারণ করেছে। তার ভাষায়, “আমরা আশা করি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আমরা কিছু অগ্রগতি দেখতে পাব। ৪২ দিনের আগে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য এখন থেকেই সবকিছু শুরু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, তিনি সোমবার ওয়াশিংটনে চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, উইটকফের সাথে বৈঠকের সময় নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে ইসরায়েলের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করবেন। এরপর উইটকফ মিশর ও কাতারের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবেন। যারা ওয়াশিংটনের সমর্থনে গত ১৫ মাস ধরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতা করেছেন।