যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্লোরিডার ডোরালে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের এক সমাবেশে চারটি নির্বাহী আদেশের ঘোষণা দেন। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হলো ‘আয়রন ডোম’ মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নির্মাণের উদ্যোগ। ট্রাম্প জানিয়েছেন, এটি মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দরকার, এবং আমি আজ রাতে চারটি নতুন নির্বাহী আদেশ সই করব। এর মধ্যে প্রথমটি হলো একটি আধুনিক ‘আয়রন ডোম’ মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নির্মাণ।’
সামরিক বাহিনীতে পরিবর্তনের ঘোষণা
অন্য তিনটি আদেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সামরিক বাহিনীতে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি (DEI) প্রোগ্রাম বাতিল এবং ট্রান্সজেন্ডার সদস্যদের সামরিক বাহিনী থেকে বাদ দেওয়া। এ ছাড়া কোভিড-১৯ ম্যান্ডেট অমান্য করার কারণে বরখাস্ত হওয়া প্রায় ৮,০০০ সেনাসদস্যকে পুনর্বহাল করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প এ উদ্যোগগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর যুদ্ধশক্তি হতে হবে।
আয়রন ডোম নিয়ে বিতর্ক
‘আয়রন ডোম’ নির্মাণের এই পরিকল্পনা তার পুনঃনির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই আলোচিত ছিল। ইসরায়েলের আয়রন ডোম ব্যবস্থাকে ছাপিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তবে সামরিক বিশেষজ্ঞরা এর প্রয়োজনীয়তা এবং বাস্তবায়নযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ইসরায়েলের আয়রন ডোম সিস্টেম ছোট এলাকাগুলোতে স্বল্প-শক্তির রকেট প্রতিরোধে কার্যকর হলেও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় ভূখণ্ডে এ ধরনের ব্যবস্থা স্থাপন ব্যয়বহুল ও অকার্যকর হতে পারে বলে মনে করেন অনেকে।
আয়রন ডোম নির্মাণের এই ঘোষণা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথের প্রথম দিনেই এলো। হেগসেথ সামরিক নেতৃত্বের ব্যাপক সংস্কার এবং ‘যোদ্ধা সংস্কৃতি’ পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছেন। ট্রাম্প বলেন, আমরা অন্য দেশকে সুরক্ষা দেই, কিন্তু নিজেদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হই। আমাদের উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে, এবং এটি আমাদের কাজে লাগানো উচিত।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল