পাঁচ সেঞ্চুরি ও তিন ফিফটি, ব্যাটিং গড় ৭৪.৯২। টেস্টে বিদায়ী বছরজুড়ে এমনই ধারাবাহিক ছিলেন কামিন্দু মেন্ডিস। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে রানের জোয়ার বইয়ে দিয়ে ছেলেদের বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতে নিলেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান।
গণমাধ্যম প্রতিনিধি, আইসিসি ভোটিং একাডেমি এবং সমর্থকদের ভোটে নির্বাচিত কামিন্দুর নাম রোববার প্রকাশ করেছে আইসিসি। সেরার লড়াইয়ে তিনি হারিয়েছেন ইংল্যান্ডের গাস অ্যাটকিনসন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের শামার জোসেফ ও পাকিস্তানের সাইম আইয়ুবকে।
২০২২ সালে টেস্টের আঙিনায় পা রাখা কামিন্দু গত বছর ফেরেন এই সংস্করণে। ১০ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ৯টিই ২০২৪ সালে খেলেন তিনি। এই সময়ে সাদা পোশাকে এক হাজার ৪৯ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। গত বছর টেস্টে হাজার রান করা ৬ ক্রিকেটারের একজন তিনি।
কামিন্দুর পাঁচ সেঞ্চুরি ২০২৪ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৬টি শতক করে সবার ওপরে বছরে সবচেয়ে বেশি এক হাজার ৫৫৬ রান করা ইংলিশ তারকা জো রুট। তবে অন্তত হাজার রান করাদের মধ্যে কামিন্দুর চেয়ে ব্যাটিং গড় নেই কারো।
গত মার্চে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিলেটে জোড়া সেঞ্চুরি করে ফেরার ম্যাচ রাঙান কামিন্দু। পরের টেস্টেও অল্পের জন্য পাননি সেঞ্চুরি, অপরাজিত ছিলেন ৯২ রানে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক দশক পর শ্রীলঙ্কার টেস্ট জয়ে তার ছিল বড় অবদান। ওই সফরে তিন টেস্টে তিনি করেন ২৬৭ রান। এক সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি করেন দুটি। এরপর ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পান তিনি আরও দুইবার।
টেস্টের মতো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতেও দলের নিয়মিতদের একজন হয়ে উঠেছেন কামিন্দু। যদিও সাদা বলে এখনও সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি।গত বছর ৬ ওয়ানডে ইনিংসে একটি ফিফটিও করতে পারেননি ২৬ বছর বয়সী কামিন্দু। মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান ৫২ ব্যাটিং গড়ে রান করেন কেবল ১০৪।
আর টি-টোয়েন্টিতে ২০২৪ সালে দেশের হয়ে ১৮টি ম্যাচ খেলেন তিনি। ১৬ ইনিংসে দুই ফিফটিতে রান করেন ৩০৫, স্ট্রাইক রেট ১২২.৪৮। গত বছর তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩২ ম্যাচে ৫০.০৩ গড়ে ১ হাজার ৪৫১ রান করেন কামিন্দু।