চর গঙ্গামতি। প্রকৃতির অপরূপ সাজে সজ্জিত। এ যেন ছবির মতো একটি জনপদ। কুয়াকাটা সৈকত থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার পূর্বদিকে এ চরটি অবস্থিত। ভোরের আকাশে সমুদ্রের বুক চিরে জেগে ওঠা লাল বৃত্তে ঘেরা সুর্যোদয়ের দৃশ্য উপভোগের জন্য পর্যটকদের কাছে ইতোমধ্যেই দৃষ্টিনন্দন স্পট হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। প্রকৃতির কারুকাজ খচিত বিশাল বেলাভূমিতে রয়েছে লাল কাকড়ার বিচরণ আর সাদা ঝিনুকের ছড়াছড়ি। এছাড়া স্বচ্ছ নীল জলরাশির একাধিক লেক, সমুদ্রের মোহনীয় গর্জন ও তীরে বেড়ে ওঠা সবুজ বনাঞ্চালসহ ঝাউবনে পাখির কলরব এবং মৎস্য আহরোণকারীদের নৌকা-ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে যাতায়াতের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য যেন পর্যটকদের আরো আকৃষ্ট করে তোলে। তবে, গঙ্গমতির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঝক্কিও কম নয়। বেহাল সড়ক, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকাসহ আবাসন সমস্যার অভিযোগ রয়েছে পর্যটকদের।
স্থানীয়রা জানান, খুব সকালে সূর্য লাল আভা ছড়িয়ে দেয় গঙ্গামতির বেলাভূমিতে। এমন দৃশ্য উপভোগ করতে ছুটে আসে আগত পর্যটকরা। এখানে নানা প্রজাতির বৃক্ষরাজি ছাড়াও রয়েছে প্রভৃতি পশু পাখির উন্মুক্ত অভায়ারণ্য। আর সৈকত জুড়ে লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি। এমন অপরূপ সৌন্দর্য যেন বিমোহিত করে ভ্রমন পিপাসু প্রকৃতি প্রেমীদের।
পর্যটকদের ভাষ্যমতে গঙ্গামতি না এলে হয়তো ভ্রমনে অপূর্ণতাই থেকে যেতো। এতো সুন্দর দৃষ্টিনন্দন স্পট রয়েছে এর আগে জানা ছিলনা। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে এই স্থানটিতে আরও পর্যটক টানবে। একই সাথে বিখ্যাত সমুদ্র সৈকত তথা পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
পর্যটক সজীব জানান, এর আগেও বহুবার কুয়াকাটায় এসেছেন। তবে মোটোরসাইকেল চালকদের মুখে গঙ্গামতির কথা শুনেছেন। কিন্তু যাওয়া হয়নি। এবার কুয়াকাটায় এসে গঙ্গামতি ঘুরে এলাম। কি দারুন দৃশ্য। এখানে সবকিছুই অকৃত্রিম এবং ভাল লাগার মত।