ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার সব যন্ত্র ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক কাঠামো’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সরকার মুক্তিযুদ্ধে চেতনা ধ্বংস করে দিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। আমাদের কণ্ঠকে রোধ করতে সব যন্ত্রকে ব্যবহার করছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমেরিকা বলেছে বাংলাদেশের কোনো গণতন্ত্র নেই। যে দেশে গণতন্ত্র নেই সে দেশের মানবাধিকার থাকে না। তাই তারা মানবাধিকার না থাকায় র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সরকার কিছু কালাকানুন আমাদের ওপর চাপিয়ে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবে। এইসব কালাকানুন দিয়ে তাদের দূরভিসন্ধি হলো সামনের আন্দোলনকে বন্ধ করে দেওয়া। প্রধানমন্ত্রীও জানেন তিনি দেশের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নন। তাই তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে এমন কথা বলতে পারেন। গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিতাড়িত করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা নির্বাচনকে ধ্বংস করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে যা করার দরকার তাই করছে। তার মধ্যে অন্যতম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এটা সংবিধান পরিপন্থী। জাতিসংঘে মানবাধিকার নিয়ে যারা কাজ করে তারাও এর প্রতিবাদ জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিচারবিভাগ ধ্বংস করেছে। সরকারের ব্যর্থতা না থাকলে অর্থনীতির এই অবস্থা কেন। মানবাধিকার নেই দেশে। যে দেশে গণতন্ত্র নাই সে দেশে গণতন্ত্র থাকবে কোথা থেকে। সরকার অব্যাহতভাবে চেষ্টা করবে এসব কালাকানুন প্রয়োগ করে বিরোধী মতকে দমিয়ে রাখার। অত্যাবশ্যক পরিসেবা বিল সংসদে তুলে তারা প্রমাণ করেছে তারা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে কতটা মরিয়া। তাই ইস্পাত কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স ও শামা ওবায়েদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমদ, আবদুল্লাহ আল নোমান, শাজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, বিজন কান্তি সরকার, অ্যাডভোকেট সুকমল বড়ুয়া, ক্যাপ্টেন সৈয়দ সুজা উদ্দিন প্রমুখ।
এছাড়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, সদস্য সচিব নুরুল হক নুরও সেমিনারে অংশ নেন।