গাজা যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের অধীনে দ্বিতীয় দফার জিম্মি মুক্তির অংশ হিসেবে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) হামাস চার ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দেবে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। ৪৭৭ দিন ধরে জিম্মি থাকা এই নারীরা হলেন- লিরি আলবাগ (১৯), দানিয়েলা গিলবোয়া (২০), কারিনা আরিয়েভ (২০) এবং নামা লেভি (২০)। এদের মধ্যে প্রথম তিনজনের বয়স ২০ ও বাকি একজনের বয়স ১৯। টাইমস অব ইসরায়েল এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, এই চারজন সেই সাতজন নারী সেনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত, যারা ৭ অক্টোবর ২০২৩ হামাসের হামলায় নাহাল ওজ সামরিক ঘাঁটি থেকে অপহৃত হয়েছিলেন। এর আগে অপহৃতদের মধ্যে একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়, এবং অপর একজনকে হত্যার পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে পাঁচজন অপহৃত নারী সেনার মধ্যে আগাম বার্গার (২১) এখনও মুক্তির তালিকায় নেই।
টাইমস অব ইসরায়েলের দাবি, এই মুক্তির তালিকা যুদ্ধবিরতির শর্ত আংশিক লঙ্ঘন করছে, যেখানে প্রথমে নারী বেসামরিক বন্দিদের মুক্তির কথা বলা হয়েছিল, এরপর নারী সেনারা, তারপর বৃদ্ধ এবং গুরুতর অসুস্থ বন্দিদের মুক্তির কথা উল্লেখ ছিল। যদিও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ, এই শর্ত লঙ্ঘনকে বড় কোনো সমস্যা হিসেবে দেখছে না এবং বন্দিদের গ্রহণে সম্মতি দিয়েছে।
এছাড়া, মুক্তির জন্য নির্ধারিত ৩৩ জন বন্দির তালিকায় থাকা দুই নারী বেসামরিক বন্দির মধ্যে একজন, আরবেল ইহুদ (২৯), এখনো মুক্তি পাননি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হামাস-সমর্থিত ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের কাছে বন্দি রয়েছেন।
এ দিকে হামাস আশা করছে, ইসরায়েল ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। যাদের মধ্যে ১২০ জন আজীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ৮০ জন দীর্ঘদিনের সাজাপ্রাপ্ত বন্দি রয়েছে। চুক্তি অনুসারে, ইসরায়েল একেকটি নারী সেনার জন্য ৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। তবে, এখনও ইসরায়েল নিশ্চিত করেনি কোন বন্দির মুক্তি হবে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, সিএনএন