গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই শতাধিক মরদেহ উদ্ধার

0

দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর থেকে গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে প্রায় ২০০ ফিলিস্তিনির মরদেহ পাওয়া গেছে।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত ভবনের নিচ থেকে প্রায় ২১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপত্যকায় পাঁচ হাজার নারী ও শিশুসহ ১৪ হাজার ২শ’ মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছে।

ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার প্রধান মাহমুদ বাসল বুধবার বলেছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনির মৃতদেহ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বেসালের মতে, কমপক্ষে ২ হাজার ৯০০ জন সম্পূর্ণরূপে পচে-গলে গেছে। তাদের কোনও চিহ্ন আর অবশিষ্ট নেই। উদ্ধারকারী দল সময়মতো পৌঁছাতে না পারায় ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, “উদ্ধার দল ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া আহত নাগরিকদের কাছ থেকে প্রতিদিন উদ্ধারের জন্য ফোন পেয়েছেন।”

উদ্ধারকারী দলগুলো সব ফোনের সাড়া দিতে পারেনি, কারণ ইসরায়েলি বাহিনী অ্যাম্বুলেন্স ও তাদের ক্রুদের ওপরও হামলা চালিয়েছে। 

বেসালের মতে, যন্ত্রপাতির অভাবের কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। ইসরায়েল উদ্ধারকর্মীদের বেশ কয়েকটি যানবাহনও ধ্বংস করে ফেলেছে এবং অন্তত ১০০ কর্মীকে হত্যা করেছে।

বেসাল বলেছেন, বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা ১০০ দিনের মধ্যে মৃতদেহগুলো উদ্ধারের আশা করেছিল। তবে বুলডোজার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবের কারণে প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন অনুসারে, গাজায় ৫০ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে ২১ বছর সময় লাগতে পারে এবং ১.২ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

ইউনাইটেড নেশনস স্যাটেলাইট সেন্টার (ইউএনওএসএটি) জানিয়েছে, গাজার প্রাক-যুদ্ধ কাঠামোর দুই-তৃতীয়াংশ, ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে, যা ভূখণ্ডের সমস্ত কাঠামোর প্রায় ৬৯ শতাংশ। সূত্র: রয়টার্স

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here