যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গতকাল রবিবার সকালে প্রথম ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ফিলিস্তিনি অঞ্চলে জাতিসংঘের ত্রাণ সহায়তা সংস্থার (ওসিএইচএ) অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান জোনাথন হুইটল জানিয়েছেন, রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রথম বহর প্রবেশ শুরু করে।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী অংশীদারদের পক্ষ থেকে সমগ্র গাজাজুড়ে ত্রাণ সরবরাহ এবং বিতরণের ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কোথা এলাকা দিয়ে এসব ত্রাণ প্রবেশ করেছে সে সম্পর্কে জাতিসংঘ বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিশরের একটি সূত্র জানিয়েছে যে, ১৯৭টি ট্রাক ত্রাণ এবং পাঁচটি জ্বালানি বহনকারী ট্যাঙ্কার ইসরাইল ও গাজার মধ্যবর্তী কেরেম শালোম এবং মিশর ও ইসরাইলের মধ্যবর্তী আল-ওগা ও নিতজানা ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করেছে।
জাতিসংঘ খাদ্য সংস্থা জানিয়েছে, তাদের ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো উত্তর দিকে জিকিম এবং দক্ষিণ দিকে কেরেম শালোম সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে।
অন্য কিছু ত্রাণবাহী ট্রাককে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এক্স পোস্টে লিখেছে, প্রথমে যে ট্রাকগুলো প্রবেশ করতে শুরু করেছে তাতে গমের ময়দা এবং জরুরি খাদ্য সহায়তা রয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর গাজাবাসী অনেকটাই ত্রাণের উপর নির্ভরশীল। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রতিদিন গড়ে মাত্র ৪০টি ত্রাণের ট্রাক গাজায় সহায়তা নিয়ে যেতো। যুদ্ধের শুরুর দিকে প্রতিদিন প্রায় ৫০০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করত।যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রতিদিন ৬০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করার কথা।
ইউএনআরডব্লিউএ এক্স এর এক পোস্টে জানিয়েছে, আমাদের কাছে গাজায় পাঠানোর জন্য ৪,০০০ ট্রাক সাহায্য প্রস্তুত রয়েছে। যার মধ্যে অর্ধেকই খাদ্য ও ময়দাবাহী ট্রাক।