সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে উপপরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা কমলেশ মন্ডল আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেন। পরে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ওরফে নওফেল অসৎ উদ্দেশ্য অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২ কোটি ২৭ লাখ ৫৯ হাজার ৩০৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ৪১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ১১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৮ টাকা লেনদেন করে মানিলন্ডারিং এর সম্পৃক্ত অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুস সংঘঠনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তা রূপান্তর বা স্থানান্তর করে দুর্নীতি দমন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মামলাটি রুজু করা হয়েছে।
আয়কর নথি জব্দ চেয়ে আদালতে দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি ‘ঘুষ লেনদেন ও দুর্নীতির’ মাধ্যমে বিপুল অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। তার আয়-ব্যয়ের হিসাব ও আর কোনো সম্পদ রয়েছে কি না তা যাচাই করতে চায় দুদক।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার বিষয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নওফেল ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ৪১টি হিসাব থেকে ১১৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা জমা এবং ৯৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা উত্তোলনের তথ্য পাওয়া গেছে।