গাজায় যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে আটককৃত ও বন্দী বিনিময় সফলতার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে কাতার। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে কিছু লজিস্টিক জটিলতার কারণে সময় লেগেছে।
আল-আনসারি আল জাজিরাকে বলেন, ২০২৩ সালের নভেম্বরেও একই ধরনের বিনিময় প্রক্রিয়ায় এই ধরনের চ্যালেঞ্জ দেখা গিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে বন্দী ও আটককৃতদের তালিকা বিনিময়ে প্রায়ই দেরি হয়, তবে এ নিয়ে আমরা অভিজ্ঞ। বর্তমানে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা সম্ভব হয়েছে এবং গাজায় সহায়তাও পৌঁছানো শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গাজার জটিল পরিস্থিতি এবং যোগাযোগব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে সময় বেশি লাগছে। তবে আশা করা হচ্ছে, আজকের বন্দী বিনিময় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।
মধ্যস্থতাকারীদের কার্যক্রম মিশরে পরিচালিত হচ্ছে। আল-আনসারি জানান, মধ্যস্থতাকারীরা বিনিময় কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বক্তব্য প্রসঙ্গে, যেখানে তিনি বলেছিলেন যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি কার্যকর না হলে যুদ্ধ পুনরায় শুরু হতে পারে, আল-আনসারি বলেন, আমাদের লক্ষ্য চুক্তি বাস্তবায়ন। বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়ে মনোযোগ দিলে এ চুক্তি কখনো বাস্তবায়িত হতো না।
আল-আনসারি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী ও নবনির্বাচিত প্রশাসন উভয়ই চুক্তি কার্যকর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তির আহ্বানের প্রশংসা করেন এবং বলেন, এই চুক্তি গাজাবাসীর আকাশে শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছে। এখন তারা মৃত্যুর বদলে আশার আলো দেখতে পাচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল