কখনো প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন, কখনো আবার কাউকে এমন কিছু বলছেন, যে সেটি শুনতে বেশ কটু। ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে বিসিবি সভাপতির জন্য অপেক্ষায় থেকে বিরক্ত হয়ে চলেও গিয়েছেন, তার ম্যাচ সেরার পুরস্কার গ্রহণ করেছেন সতীর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত। গত কিছু দিনে তামিম ইকবালের পারফরম্যান্স একপাশে সরিয়ে রাখলে এসবই হবে তার বিপিএলের হাইলাইটস।
সেই ধারাবাহিকতায় আজ চিটাগং কিংসের বিপক্ষে রান তাড়ায় নেমে তার ফরচুন বরিশাল সতীর্থ ডাভিড মালানের সঙ্গে তর্কে জড়ানোটা যুক্ত হলো তালিকায়।
চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বরিশালের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ১২১ রান তোলে চিটাগং। রান তাড়া করতে নেমে বরিশালের ইনিংস উদ্বোধন করেন তামিম ও মালান। তৃতীয় ওভার পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই চলছিল। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলেই ঘটনার সূত্রপাত। আলিস আল ইসলামের করা বল শর্ট কভারে ঠেলে দিয়ে রানের জন্য ছুটতে গিয়েও ছোটেননি মালান।
উসমান খান একবারে ধরতে পারেননি বলটা, সেই সুযোগই নিতে চেয়েছিলেন তামিম। দৌড়ে মাঝ উইকেট পর্যন্ত চলেও যান এই বাঁহাতি ব্যাটার। কিন্তু মালানের সাড়া না পেয়ে আবার ফিরে আসেন নন স্ট্রাইকিং এন্ডে। ততক্ষণে উসমানের করা থ্রো থেকে উইকেট ভেঙে দেন আলিস।
চেহারা দেখেই মনে হচ্ছিল অখুশি তামিম, হাত তুলে জানতেও চান মালানের কাছে, কেন সিংগেল নেননি তিনি? মাঠ ছাড়তে ছাড়তে মালানকে কিছু একটা বলছিলেনও তামিম। মালানও উত্তর দিতে দিতে এগিয়ে যান নন স্ট্রাইকিং এন্ডের দিকে। সেই তর্কের পর মালানকে থামাতে এসেছিলেন চিটাগং কিংসের ফিল্ডাররা।