দিনাজপুরে বিলুপ্তপ্রায় লক্ষীপেঁচা উদ্ধার করা হয়েছে। পেঁচাটির ওজন প্রায় এক কেজি। সুস্থ হয়ে উড়তে পারলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানায় বনবিভাগ।
এরআগে বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের বিরলের রানিপুকুর ইউপির বোর্ডহাট মহাবিদ্যালয়ের ক্লাসরুম থেকে লক্ষীপেঁচাটি উদ্ধার করে দিনাজপুর বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যানে বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে তার সুস্থতার চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, বিরল বোর্ডহাট মহাবিদ্যালয়ের কর্মচারী শাহীন ক্লাসরুমে প্রবেশ করতে পেঁচাটি দেখতে পায়। এরপর পেঁচাটিকে উদ্ধার করে ওই মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক পরিবেশপ্রেমিক বিধান দত্ত সংরক্ষণ করে রাখেন। পরে তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পরিবেশবিদ তুহিন ওয়াদুদকে এবং ডেপুটি ফরেস্ট অফিসার আনোয়ার হোসেনকে খবর দেওয়া হয়। বিষয়টি বনবিভাগকে জানানো হলে, বিরল ধর্মপুর বনবিট অফিসার মহসীন আলী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পেঁচাটি নিয়ে যান। পরে তাকে চিকিৎসা সেবার জন্য দিনাজপুরের ঐতিহাসিক রামসাগর জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলছে তার। বিরল বোর্ডহাট মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক বিধান দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিরল ধর্মপুর বনবিট অফিসার মহসীন আলী জানান, উদ্ধার হওয়া পেঁচাটি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির লক্ষ্মীপেঁচা। অসুস্থ থাকায় এটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রামসাগর দিঘি জাতীয় উদ্যানে হস্তান্তর করা হয়েছে। সুস্থ হলে এটিকে আবার প্রকৃতির মাঝে অবমুক্ত করা হবে। লক্ষী পেঁচা দৈহিক বৈশিষ্ট্যের সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল বড় বড় গোল চোখ আর তীক্ষ দৃষ্টি। মাথা ঘুরিয়ে এরা পেছনের দিকেও তাকাতে পারে। তীক্ষ দৃষ্টির কারণে রাতের অন্ধকারেও শিকার ধরতে কোনো অসুবিধা হয় না। এ কারণেই লক্ষ্মীপেঁচা এক জায়গায় চুপচাপ বসে চারদিকে নজর রাখতে পারে। এ ছোট পেঁচার চোখের পুরো অংশটি সাদা।পিঠের দিক ধুষর,ধুসর রংয়ের মাঝে কালো স্পট রয়েছে। এছাড়া চাকতির মতো এদের মুখমন্ডল। এই জাতীয় লক্ষ্মীপেঁচা বড় বড় গাছের কোটরে থাকে।