বগুড়ায় কমেছে সবজির দাম

0

সপ্তাহের ব্যবধানে বগুড়ার বাজারে আবারো কমেছে সবজির দাম। প্রতিটি সবজির দাম কেজি প্রতি কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। সাতদিন আগে যে সবজির দাম ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি তা এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। এদিকে সবজির দাম কমায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, একমন সবজি বিক্রি করে একজন শ্রমিকের খরচ উঠছে না।

জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের মধ্যে বগুড়ায় সবচেয়ে বেশি সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। জেলায় শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করেন কৃষকরা। শীত মৌসুমে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আগাম সবজি উৎপাদন হয়েছে ৮০ হাজার টন। এছাড়া উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ১৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। ফলন ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টন। বগুড়ার বিভিন্ন বাজারে শীতকালীন সবজির দাম শুরুতে বেশি ছিল। বিভিন্ন সময় কাঁচাবাজারে দাম উঠানামা করলেও এখন প্রচুর আমদানি থাকায় কমেছে দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সব ধরণের সবজির আমদানি আবারো বেড়েছে। যে কারণে কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা দাম কমেছে। তবে আর কিছুদিন পর আমদানি কমতে যেতে পারে। তখন আবার দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বগুড়া শহরের ফতেহ আলী, রাজাবাজার, কলোনী, খান্দার ও বকশি বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচাবাজারে সবজির কেজিতে ১০ থেকে ২০টাকা দাম কমেছে। বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫ থেকে ৪০টাকা কেজি। মটরসুটি বিক্রি হচ্ছে ১০০টাকা কেজি। যা আগে বিক্রি ছিল ১৬০টাকা কেজি। বেগুনের দাম কমে ২০ থেকে ৪০টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপি ১০টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০টাকা, শিম ২০ থেকে ৪০টাকা, করলা ৬০টাকা, পেঁয়াজ ৪৫টাকা, মূলা ২০টাকা, গাঁজর ৪০টাকা, মিষ্টি লাউ ৪০ থেকে ৫০টাকা, শসা ২৫টাকা, বরবটি ৬০টাকা, পেঁপে ৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পাতা কপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫টাকা। 

বগুড়া রাজাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী মোঃ মাহফুজার রহমান জানান, সবজির আদমানি বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি সবজির দাম কেজি প্রতি কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। দাম কমায় বিক্রিও ভালো হচ্ছে। 
বাজারে সবজি কিনতে আসা শহরের কলোনী এলাকার নুরুল ইসলাম জানান, সবজির দাম কম। তাই বেশি বেশি করে কিনছি। 
বগুড়া সদরের সাবগ্রাম এলাকার কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, বাজারে কম দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে করে লোকসানে পড়তে হচ্ছে। একমণ সবজি বিক্রি করে একজন শ্রমিকের খরচ উঠছে না। 

রাজাবাজার পাইকারী আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাফায়েতুল ইসলাম বাবু জানান, বগুড়ার বৃহত্তর সবজির মোকাম মহাস্থান হাটে আমদানি বাড়ায় খুচরা বাজারে সবজির দাম কমেছে। বগুড়ায় জেলায় প্রচুর শীতকালীন সবজরি আবাদ হয়েছে। যা বগুড়ার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলাতেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।  

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here