বরিশালে কৌশলে অপহরণ করে দুবাই পাঠানোর উদ্দেশ্যে আটকে রাখা কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও অপহরণ ও পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ সংবাদ বরিশাল মহানগরীর উপ-পুলিশ (উত্তর) রুনা লায়লা তার নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার পাতারহাট এলাকার বাসিন্দা সুইটি (২৭), শরিয়তপুরের বাসিন্দা যুথী বেগম (২৪) ও নোয়াখালী লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা আল-আমিন (২৮)।
উপ-পুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা জানান, গত ১ জানুয়ারী বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউপির পূর্ব হবিনগর গ্রামের বাসিন্দা কিশোরী নানা বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওই কিশোরী শায়েস্তাবাদ ইউপির চর হবিনগর খেয়াঘাট এলাকায় পৌছুলে তাকে কৌশলে অপহরন করে সুইটি ও যুথী। পরে তাকে নগরীর ভাটিখানা এলাকার একটি বাসায় এনে আটকে রাখে। কিশোরীকে পতিতাবৃত্তি ও যৌন নিপিড়নের উদ্দেশ্যে দুবাই পাঠানোর পরিকল্পনা করে। গত ২ জানুয়ারী কিশোরীকে ঢাকায় নিয়ে নকল ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করে। পরে তাকে নগরীতে নিয়ে এসে ৬নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা খালেক মিয়ার বাসার দ্বিতীয় তলার ভাড়া বাসায় আটকে রাখে।
উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, কিশোরীকে না পেয়ে তার মা গত ৯ জানুয়ারী মহানগর পুলিশের কাউনিয়া থানায় জিডি করে। জিডি সুত্রে তদন্ত করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে কাউনিয়া থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে কিশোরী উদ্ধার করা হয়। এ সময় তিন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মহানগর পুলিশের কাউনিয়া থানার ওসি নাজমুল নিশাত বলেন, এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে মানবপাচার আইনে মামলা করেছে। ওই মামলার আসামী হিসেবে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীকে তার মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
আদালতের জিআরও এসআই হুমায়ন কবির বলেন, তিনজনকে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট নুরুল আমিন তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।