কুম্ভমেলা উপলক্ষে গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী; তিন নদীর সঙ্গমস্থলে ডুব দিতে দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়ো হচ্ছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে (সাবেক এলাহাবাদ)। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া মকর সংক্রান্তির পুণ্যতিথিতে স্নান করতে ইতোমধ্যেই ভিড় জমেছে সেখানে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবারই ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ জড়ো হয়েছে কুম্ভমেলায়।
১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মেলা শেষ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি। অনেকের মতে, ৪৪ দিনের মহাকুম্ভে উত্তরপ্রদেশ সরকারের রাজকোষে কোটি কোটি রুপি যোগ হবে। এই মেলা থেকেই স্থানীয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার আয় করতে পারে দুই লাখ কোটি টাকা!
সংশ্লিষ্টদের দাবি, এ বারের মহাকুম্ভে ৪০ কোটি পুণ্যার্থীর ভিড় হবে। প্রত্যেকে যদি পাঁচ হাজার রুপি করেও খরচ করেন, তবে দুই লাখ কোটি টাকার হিসাবে পৌঁছনো যাবে। সূত্রের খবর, পুণ্যার্থীপিছু ১০ হাজার টাকা করে আয় হতে পারে উত্তরপ্রদেশ সরকারের। সে ক্ষেত্রে মোট আয়ের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে, আশাবাদী অনেকেই।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ জানান, ২০১৯ সালে অর্ধকুম্ভ রাজ্যটির অর্থনীতিতে বড় ছাপ রেখেছিল। সে সময় সরকার আয় করেছিল এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি। সে বার প্রায় ২৪ কোটি মানুষ ভিড় করেছিলেন প্রয়াগরাজে। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়েই আদিত্যনাথ জানান, এ বারের মেলা থেকে আয়ের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
২০১৩ সালে ছিল পূর্ণকুম্ভমেলা। ১২ বছর পরে প্রয়াগরাজে আবার পূর্ণকুম্ভমেলা আয়োজিত হয়েছে।
এ বারের ৪৪ দিনের মহাকুম্ভে অন্তত ছয়টি শাহিস্নানের দিন থাকবে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌনী অমাবস্যার শাহিস্নান। এই ছয় স্নানের দিন প্রয়াগরাজে সবচেয়ে বেশি ভিড় হবে বলে মনে করছেন অনেকে। এ বার পুণ্যার্ণীদের থাকার জন্য মেলাপ্রাঙ্গণে প্রায় দেড় লাখ তাঁবু পাতা হয়েছে। রয়েছে তিন হাজার রান্নার জায়গা, ১ লক্ষ ৪৫ হাজার বিশ্রামাগার এবং গাড়ি রাখার ৯৯টি জায়গা। ৪০ হাজারের বেশি পুলিশ থাকবে নিরাপত্তার দায়িত্বে।