ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস। কিছু এলাকায় দাবানল নিয়ন্ত্রণে আসলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে আবারও তীব্র বাতাসের বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস। রবিবার এই খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার লস অ্যাঞ্জেলেসে বিকালের মধ্যে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকের বাতাস ঘণ্টায় ৯৬ থেকে ১১২ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে প্রবাহিত করতে পারে। এই বায়ু প্রবাহিতকে ‘সান্তা আনা’ বায়ু হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দাবানলের শুরুতে যে ধরনের বায়ু প্রবাহিত হয়েছিলো, ঠিক সেরকম বায়ু প্রবাহিত হতে পারে। পাশাপাশি আগামী সপ্তাহে আরও একটি সান্তা আনা বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। এক্ষেত্রে দাবানল সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল কর্মীদের বেগ পেতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অপরদিকে, দেশটির অগ্নি নির্বাপক কর্তৃপক্ষ দাবানল এলাকায় অনুমোদনহীন ড্রোন না ওড়ানোর ব্যাপারে সতর্ক করেছে। বেসামরিক এই ড্রোনগুলো দাবানল দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাগুলোতে পানি পরিবহনে ব্যবহৃত বিমানের স্বাভাবিক চলাচলে বাধার সৃষ্টি করছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি ফায়ার ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র শিলা কেলিহার এক বিবৃতিতে বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় প্যালেসেইডস দাবানলের আগুনের কারণে ফ্লাইট সতর্কীকরণ এলাকায় ৩০টির বেশি ড্রোন শনাক্ত করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। টানা পাঁচদিন ধরে দাবানলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো ছয়টি দাবানল সক্রিয় রয়েছে। পুড়ে গেছে অনেক এলাকা। ধ্বংস হয়েছে প্রায় ১০ হাজার বাড়িঘর। এখন পর্যন্ত দাবানলে মৃতের সংখ্যা ১৬ হলেও এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বর্তমানে দাবানলটি দিক পরিবর্তন করে লস অ্যাঞ্জেলসের উত্তর-পূর্বে নতুন এলাকার দিকে আগুন ছড়াচ্ছে। এমন অবস্থায় ম্যান্ডেভিলের দিকে অগ্রসর হওয়ায় সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের। ঘর ছাড়তে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে আরও ১ লাখ ৬৬ হাজার মানুষকে।