১৫ বছর পর প্রথমবারের মতো সিরিয়া সফরে গেছেন লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি। শনিবার দামেস্কে সিরিয়ার ডি-ফ্যাক্টো নেতা আহমেদ আল-শারার সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, দুই দেশ ভূমি ও সমুদ্রসীমা নির্ধারণ এবং সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করবে।
আল-শারার বলেন, বৈঠকে সীমান্ত সমস্যার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে চোরাচালান এবং লেবানিজ ব্যাংকগুলোতে থাকা সিরিয়ার অর্থ জমার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পর প্রতিবেশী লেবাননের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হবে।
তিনি আরও বলেন, লেবানন এবং সিরিয়ার মধ্যে বহু অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। এই স্বার্থ রক্ষায় আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। উভয় পক্ষই এই বিষয়ে কাজ করতে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দামেস্ক থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক হামজা মোহাম্মদ জানান, দুই নেতা চোরাচালান বন্ধে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সিরিয়া থেকে লেবাননে অস্ত্র ও মাদকের চোরাচালান দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত সমস্যা সৃষ্টি করেছে। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টি আলোচনায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন।
লেবাননের পূর্ব সীমান্ত দীর্ঘদিন ধরে চোরাচালানের জন্য পরিচিত। এই অঞ্চলে সীমান্তের অরক্ষিত অবস্থা চোরাকারবারিদের জন্য সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে।
লেবাননের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ চলাকালীন বাশার আল-আসাদকে সমর্থন করেছিল। তবে সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে তাদের দীর্ঘদিনের নেতা নিহত হওয়ায় এবং সামরিক সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গোষ্ঠীটি দুর্বল হয়ে পড়েছে।
এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা গত মাসে দামেস্ক দখল করে এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। নতুন পরিস্থিতিতে লেবানন ও সিরিয়ার মধ্যকার সম্পর্ককে নতুনভাবে গড়ে তোলার এই উদ্যোগ দুই দেশের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল