গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জনবল নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের ব্যবহার এবং বদলি পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে চার জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার বিকেলে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পুলিশ সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরআগে সকাল ১০টায় শুরু হওয়া দেড় ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা চলে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তাররা সদর উপজেলার ভবানীপুরের শামসুল হকের ছেলে ছাইমুন ইসলাম (২৫), সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ছাপরহাটী গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে আসাদুজ্জামান আসাদ, ফুলছড়ি উপজেলার মধ্য উড়িয়ার আবুল কালাম আজাদের ছেলে শাহ সুলতান (৩২) এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ি এলাকার বুলবুল আহমেদের ছেলে রাশেদ আহম্মেদ (২৪)। এদের মধ্যে ছাইমুন ইসলামের কাছ থেকে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস পাওয়া গেছে এবং আসাদুজ্জামান আসাদ (প্রক্সি) মূল পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া শাহ সুলতান ও রাশেদ আহমেদ নামে অপর দু’জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অর্থাৎ ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার এবং প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়া দুই পরীক্ষার্থীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.কে.এম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযুক্তদের নামে নিয়মিত মামলা হবে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও মুদ্রাক্ষরিক পদে ১৩ জন এবং হিসাব সহকারী পদে ৩ জনসহ মোট ১৬ জন তৃতীয় শ্রেণির জনবল নিয়োগের জন্য ২০২২ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। ওই নিয়োগ পরীক্ষায় শনিবার ৩ হাজার ৭৭৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।