অকল্যান্ডে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে ১৪০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। কিউইদের বিপক্ষে ওয়ানডে সংস্করণে লঙ্কানদের দ্বিতীয় বড় ব্যবধানের জয়ও এটি। অকল্যান্ডেই ২০০৭ সালে ১৮৯ রানে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারিয়েছিলেন জয়াসুরিয়া-জয়াবর্ধনেরা। সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছে কিউইরা। ধবলধোলাই এড়িয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করল লঙ্কানরা।
ইডেন পার্কে টস আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক চরিত আসালাঙ্কা। পাতুম নিসাঙ্কা (৬৬), কুশল মেন্ডিস (৫৪) ও দুনিত লিয়ানাগের (৫৩) ফিফটিতে ৮ উইকেটে ২৯০ রান তোলে সফরকারীরা। ম্যাট হেনরি নিয়েছেন ৪ উইকেট। শ্রীলঙ্কার দেওয়ার ২৯১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২৯.৪ ওভারে ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে ৮১ রানই এসেছে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা মার্ক চাপম্যানের ব্যাট থেকে। লঙ্কান বোলারদের মধ্যে পেসার আসিতা ফার্নান্দো, ইশান মালিঙ্গা ও স্পিনার মহেশ তিকসানা ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন।
দুর্দান্ত জয়ে নিউজিল্যান্ডের মাঠে ওয়ানডেতে ৯ বছরের জয়ের খরাও কাটাল শ্রীলঙ্কা। নেলসনে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডে সবশেষ ওয়ানডে জিতেছিল তারা। তবে শেষ ওয়ানডে ম্যাচে হার মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারের। ম্যাচ শেষে বলেছেন ‘কিছুটা হতাশাজনক, সম্ভবত এইভাবে আমরা সিরিজ শেষ করতে চাইনি। শ্রীলঙ্কাকে কৃতিত্ব দিতে হবে; তারা বোর্ডে ভালো রান তুলেছে এবং শুরুতেই আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। সেখান থেকে ফিরে আসা বেশ কঠিন ছিল।’
সিরিজ জিতেই তৃপ্ত নন স্যান্টানার। এই ম্যাচ থেকে নিতে চান শিক্ষা, ‘তারা বলে ভালো সুইং করিয়েছে এবং আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছিল। আমরা পুরো সিরিজে এটি করেছিলাম। আমরা এটিকে মেনে নেব…সিরিজ থেকে অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে, ছেলেরা তাদের ভূমিকা পালন করেছে, ছেলেরা খুব ভালো পারফর্ম করেছে, একটি শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে। তাদের স্কোয়াডের গভীরতাও অসাধারণ। আমরা পাকিস্তান যাচ্ছি, সেখানে পরিবেশ পরিবর্তন হবে, তাই আমরা যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নিয়ে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।’
২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন শ্রীলঙ্কান পেসার আসিতা ফার্নান্দো। ৩ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার ম্যাট হেনরি।