মুখে দুর্গন্ধ বা নিশ্বাসে দুর্গন্ধের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে ধরা হয় খারাপ ওরাল হাইজিন (ব্রাশ না করা, মুখ ঠিকমতো পরিষ্কার না করা)। এছাড়া, মুখের অন্য সমস্যায়, যেমন মাড়িতে ব্যথা (লক্ষণ- খাবারের কণা আটকে থাকা, মাড়ি ফুলে যাওয়া, ব্যথা) হতে পারে এবং যত্ন না নিলে তা পিরিওডোনটাইটিসে পরিণত হতে পারে। পাইওরিয়া হলে নিশ্বাসে দুর্গন্ধ ছাড়াও দাঁতও দুর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়া, আরও একাধিক কারণ রয়েছে যার কারণে দুর্গন্ধ বিরক্তি তৈরি করতে পারে।
নিশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে অনেকে মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করেন। এলাচ খান। মৌরি চিবোন। সব সময় এই ঘরোয়া উপায় মানলেও এই সমস্যা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়া যায় না। এক ঝলকে নিম্নে দেখে নিন সেই ৫ কারণ, যার ফলে মুখে বা নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ বেরোতে পারে।
অত্যধিক ক্যাফিন খাওয়া
যারা খুব বেশি ক্যাফেইন খান যেমন কফি, চা ইত্যাদি পান করেন, তাদেরও নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে শুরু করে। এই পানীয়গুলিতে মিষ্টি এবং দুধ থাকে বলে তা ক্যাভিটি (দাঁতে ক্ষয়ের ফলে গর্ত গয়) তৈরি করতে পারে। ক্যাফেইন বেশি খেলে মুখের লালা শুকিয়ে যেতে পারে। যা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি ঘটায়। এবং নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ তৈরি করে। দাঁতের এনামেলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যার ফলে দাঁতের স্বাভাবিক রংও ফিকে হয়ে যেতে পারে।
ঠিকমতো না ঘুমানো বা নাক ডাকা
যে ব্যক্তি নাক ডাকেন বা স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভুগছেন তারও এটা হতে পারে। নাক ডাকার সময় মানুষ নাকের পরিবর্তে মুখ দিয়ে শ্বাস নেয় এবং লালা শুকিয়ে যেতে থাকে। তাই নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে।
পানি কম পানের অভ্যাস
পানি কম পান করলেও মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা তৈরি হতে পারে। আসলে যখন ডিহাইড্রেশন হয়, সেই সময় মুখ শুষ্ক হতে শুরু করে। এর ফলে মুখের লালা কমে যায় এবং মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া বাড়তে থাকে যা নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
পেট পরিষ্কার না হওয়া
যাদের পেট ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় যাদের, তাদেরও নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ বেরোতে পারে। এ ছাড়া গ্যাস্ট্রোফেজিয়াল রিফ্লাক্স এবং অন্ত্রের সমস্যা থাকলেও নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে। কারণ পরিপাকতন্ত্র ও অন্ত্রে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া থেকে হাইড্রোজেন সালফাইড তৈরি হয়। যার ফলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ বেরোয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের সমস্যা হতে পারে
যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের ইনসুলিন তৈরির প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধের সমস্যা হতে পারে। এছাড়া, যে কোনও ধরনের ওষুধ সেবনেও নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে।