কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগার থেকে ১১ ইয়েমেনির মুক্তি

0

কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগার থেকে ১১ ইয়েমেনিকে মুক্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় দুই দশক ধরে তারা বন্দি ছিলেন সেখানে।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। 

পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই বন্দিদের ইতোমধ্যেই ওমান পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জো বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছিল, বিনা বিচারে বন্দি সবাইকে গুয়ানতানামো বে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। ক্ষমতা ছাড়ার এক সপ্তাহ আগে সেই কাজ সম্পূর্ণ করলো বাইডেন সরকার।

যারা মুক্তি পেয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম শাকাউই আল হাজ। ২১ বছর ধরে গুয়ানতানামো বে জেলে বিনা বিচারে বন্দি ছিলেন তিনি। বন্দি থাকাকালীন একাধিক অনশন করেছেন তিনি। তার অভিযোগ, দুই বছর ধরে লাগাতার তার ওপর অত্যাচার চালানো হয়েছে জেলে।

কিছুদিন আগেই আমেরিকা জানিয়েছিল, এক বন্দিকে বিতর্কিত জেল থেকে মুক্তি দিয়ে তিউনিসিয়া পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার ১১ জন ইয়েমেনিকে ছাড়ার কথা জানানো হলো।

২০০১ সালে ৯/১১-র ঘটনার পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জুনিয়র গুয়ানতানামো বে জেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। যুদ্ধাপরাধীদের সেখানে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একসময় এই জেলে ৭০০ জন পর্যন্ত বন্দি ছিলেন। যাদের অধিকাংশই মুসলিম। তাদের ভয়াবহ অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ। এই জেল থেকে যারা মুক্তি পেয়েছেন, তারাও একই অভিযোগ করেছেন।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রথম ঘোষণা করেন, গুয়ানতানামো বে জেল বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরপর জো বাইডেন ক্ষমতায় এসেও জানান, ধীরে ধীরে সব বন্দিকে মুক্তি দিয়ে এই বিতর্কিত জেল বন্ধ করা হবে। বেশ কিছু বিচারাহীন ব্যক্তিকে মুক্তি দিলেও গুয়ানতানামো বে জেল বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারলেন না জো বাইডেনও। 

মার্কিন প্রশাসনের অবশ্য দাবি, বন্দিদের কোন দেশে পাঠানো হবে, তা নিয়ে দীর্ঘসূত্রতার কারণেই সবাইকে এখনো ছাড়া যায়নি। বহু দেশই এই বন্দিদের গ্রহণ করতে চায় না বলে অভিযোগ। এখনো যারা গুয়ানতানামো বে-তে বন্দি তার মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে। ৯/১১-র ঘটনায় তারা যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ। দুইজনের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। তারা সাজাপ্রাপ্ত। কিন্তু বাকি ছয়জনের এখন পর্যন্ত কোনো বিচার হয়নি।

সূত্র : ডয়চে ভেলে ও আল-জাজিরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here