বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বাৎসরিক সমুদ্র মহড়া ‘এক্সারসাইজ সেফ গার্ড-২০২৪’ এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম ও খুলনা নৌ অঞ্চলে সমুদ্র সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার ‘মেরিটাইম ডোমেইন অ্যাওয়ারনেস-২০২৪’ আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেমিনার চট্টগ্রামে এরিয়া মাল্টিপারপাস হলে এবং খুলনায় নৌবাহিনী ঘাঁটি বানৌজা তিতুমীর এ অনুষ্ঠিত হয়। সমুদ্রসম্পদ ব্যবহারকারী সংস্থাসমূহের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সেমিনারদ্বয়ে যথাক্রমে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী এবং খুলনা নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সমুদ্রপথে নিরাপদ বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ, জ্বালানি নিরাপত্তায় সামুদ্রিক খনিজ সম্পদের ব্যবহার, মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথসমূহের নাব্যতা সংকট ও এ থেকে উত্তরণের উপায়, পরিবেশবান্ধব সামুদ্রিক শিল্প উন্নয়ন এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ সমুদ্রসম্পদের নিরাপত্তা রক্ষার চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
সেমিনারে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বিএসএমআরএমইউ, বাংলাদেশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, মেরিন ফিসারিজ একাডেমি, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বিআইডব্লিউটিএ, চট্টগ্রাম কাস্টম’স হাউজ, বিএনসিসি, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফি রিসার্চ ইনস্টিটিউট, পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড এবং অন্যান্য মেরিটাইম সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, খুলনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে ‘মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সক্ষমতাবৃদ্ধি’,‘অভ্যন্তরীণ নৌপথসমূহের নাব্যতা সংকট ও এর থেকে উত্তরণের উপায়’, ‘টেকসই জাহাজ নির্মাণ প্রক্রিয়া এবং পরিবেশবান্ধব সামুদ্রিক শিল্প উন্নয়ন’, ‘সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে দূষণ প্রতিরোধ কৌশলসমূহ’, ‘মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলাকালে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের নিশ্চিত করা’ প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া, সেমিনারে উপস্থিত মেরিটাইম বিশেষজ্ঞরা সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্ট, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন, খুলনা শিপইয়ার্ড লি., যশোর বিমানবন্দর, বিআইডব্লিউটিএ, মৎস্য অধিদপ্তর, মোংলা কাস্টম’স হাউজের মনোনীত প্রতিনিধিরা এবং খুলানা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।