নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিয়ের ১৭ দিনের মাথায় শ্বশুরবাড়ির নিজের ঘর থেকে মোছা. মুক্তা (২৪) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের কাজিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত মুক্তা একই এলাকার মোহাম্মদ রানার স্ত্রী। তিনি শহরের কুন্দল এলাকার মৃত নান্নুর মেয়ে। মুক্তা স্থানীয় একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। এ ঘটনায় মুক্তার স্বামী রানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফইম উদ্দীন।
মুক্তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১৭ দিন আগে রানার সঙ্গে মুক্তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পর থেকেই রানা তার স্ত্রী মুক্তার ওপর নির্যাতন শুরু করে। ঘটনার আগের দিন রাতে ঘুমিয়ে পড়েন মুক্তা। পরের দিন সকালে তাকে মৃত্য অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারে লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
মুক্তার ভাই মো. সাইদুল বলেন, ‘এটি পরিকল্পিত হত্যা। আমার বোনের জামাই নেশাগ্রস্ত ছিল। বোনকে মেরে ফেলা হয়েছে।’
ওসি ফইম উদ্দীন বলেন, বলেন, ‘সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শয়নকক্ষের বিছানায় গৃহবধূর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী রানাকে গ্রেফতার করা হয়েছ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রানা স্ত্রী হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার জন্য প্রক্রিয়া চলছে।’