যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির বাজার স্থিতিশীল, জনজীবনকে স্বস্তি

0

যুক্তরাষ্ট্র শ্রম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী গতবছর কর্মক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা দেখা গেছে। মানে আর্থিক কারণে খুব কমসংখ্যক আমেরিকানই চাকরি ছেড়েছেন আরো অধিক বেতনের প্রত্যাশায়। 

সরকারি তথ্য অনুযায়ী গত বছরের জানুয়ারি এবং অক্টোবর পর্যন্ত প্রতি মাসে চাকরি ত্যাগের হার ছিল ২.১% করে। এর আগে অর্থাৎ করোনা মহামারির পর ২০২১ ও ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি আমেরিকানের চাকরি ত্যাগের ঘটনা ঘটেছে, সেই  হার ছিল-৩.০%। এজন্যে এ দুটি বছরকে সর্বোচ্চ চাকরি ছাড়ার বছর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তেমন একটি অস্থিতিকর পরিস্থিতির অবসানে কর্মক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা কিছুটা বৃদ্ধির অবদান হিসেবে দেখছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করছেন আয়ের চেয়ে ব্যয়ের পরিধিতে কিছুটা সমন্বয় ঘটায় নতুন চাকরি খোঁজার মনোভাব হ্রাস পেয়েছে।
 
চলতি বছর সেই স্থিতি বজায় থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন। ২০২৫ সালের জন্যে ‘রোবার্ট হাফ’ প্রকাশিত বেতন-কাঠামো অনুযায়ী ৬৩% একই পদে থাকতে স্বাচ্ছন্দবোধ করবেন। কারণ, গত বছরের তুলনায় বেতন-ভাতা বাড়বে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত বছরটি চাকরির বাজারে অত্যন্ত স্থিতিশিল ছিল, এবারও যদি তেমনটি বিরাজ করে তাহলে তার প্রভাব জনজীবনকে আরো স্বস্তি দেবে। 

ইউনিভার্সিটি অব নিউ হ্যাভেনের উদ্বাধনী এবং উদ্যোক্তা কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ব্রায়ান মার্ক আশা প্রকাশ করেন, করোনায় বিপর্যস্ত কাটিয়ে ওঠার পরিক্রমায় অনেক অগ্রগতি সাধনে সক্ষম হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই ধারা অব্যাহত ছিল গত বছর। ঘরে বসেই কাজের সুযোগ অবারিত থাকায় একই ব্যক্তি কর্তৃক একাধিক চাকরি অব্যাহত রাখাও সম্ভব হচ্ছে অর্থাৎ আয়ের পরিধি বিস্তৃত হয়েছে। 

ব্রায়ানের বিশ্লেষণ অনুযায়ী চলতি বছর একইধারা বিরাজ করতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব টেনেসীর ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি ইনস্ট্রাক্টর আলেক্স বিন বলেন, দৈনন্দিন জীবন-যাপনের ব্যয় বাড়লেও নানাবিধ কারণে চাকরি ছাড়ার মনোভাব অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। খুব স্বল্পসংখ্যক আমেরিকান অধিক বেতনের প্রত্যাশায় নতুন কর্মস্থলে যাবার আগ্রহ দেখাচ্ছেন-এটি সামাজিক স্থিতির লক্ষণ-যা গোটা সমাজ ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে সারাটি বছর। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here