রংপুরে শীত বিচিত্র রূপে হাজির হয়েছে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কাছাকাছি চলে আসায় প্রকৃতি বৈরী আচরণ করতে শুরু করেছে। বৃষ্টির মতো শিশির পড়ছে। কুয়াশার চাদরে ঢাকা প্রকৃতি। সেই সাথে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল হাওয়ার সাথে কনকনে ঠাণ্ডায় জনজীবন কাবু হয়ে পড়েছে।
রংপুর আবাহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সাথে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুই তাপমাত্রা কাছাকাছি চলে আসায় শৈত্যপ্রবাহের চেয়ে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। উত্তর পশ্চিমের বাতাসের গতি ছিল ৫ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে দেখা গেছে শীতের কারণে জনজীবন থেকে শুরু করে প্রাণি ও কৃষি সম্পদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মাঠে এখন বোরো ধানের বীজতলা। এমন আবহাওয়া আরও কয়েকদিন থাকলে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে এমন শঙ্কা করছেন কৃষকরা। এছাড়া শীতের কারণে মানুষের রোগবালাই বেড়েছে। শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতাল গুলোতে। খেটে খাওয়া দরিদ্র ও চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ধরনের আবহাওয়া আরও কয়েকদিন থাকবে।