৭০০ ফুট গভীর কুয়া থেকে ১০ দিন পর শিশুকে জীবিত উদ্ধার!

0

টানা ১০ দিন চেষ্টার পর ৭০০ ফুট গভীর কুয়া থেকে তিন বছরে এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের একটি গ্রামে। বুধবার তাকে উদ্ধার করা হয়।

জীবিত উদ্ধারের পর সঙ্গে সঙ্গে ওই শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শিশুটিকে পর্ষবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে রাজস্থানের কোটওয়ালেতে খেলতে খেলতে ৭০০ ফুট গভীর ওই কুয়ায় পড়ে যায় ‘চেতনা’ নামের শিশুটি। প্রথমে সে কুয়ার ১৫ ফুট গভীরে আটকে ছিল। পরিবারের লোকেরা তাকে টেনে বের করার চেষ্টা করতে গেলে উল্টো আরও ১৫০ ফুট গভীরে পড়ে যায় সে। এরপর শুরু হয় উদ্ধারকাজ। টানা ১০ দিন ধরে উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটছিল গ্রামবাসীদের। বুধবার উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা পৌঁছে গিয়েছিল শিশুর কাছে। সন্ধ্যায় ওই শিশুকে জীবিত অবস্থায় কুয়ার বাইরে বের করে আনেন তারা।

জানা গেছে, কুয়ায় পড়ে যাওয়ার পরই উদ্ধারকাজ শুরু করে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পরে আসে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরাও। যদিও সাত দিন লাগাতার সব রকম চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তাই শেষ চেষ্টা করতে মাঠে নামেন দক্ষ খনি-শ্রমিকেরা। নিষিদ্ধ ‘র‌্যাট-হোল মাইনিং’ অর্থাৎ ইঁদুর-গর্ত খনন পদ্ধতিতে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন তারা। তিন দিন চেষ্টার পর বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হয়।

কুয়ার মধ্যে যাতে চেতনার শ্বাস-প্রশ্বাসের অভাব না হয়, তার জন্য কুয়ার মুখ দিয়ে একটি অক্সিজেন পাইপও প্রবেশ করানো হয়। একটি পাইলিং মেশিনের সাহায্যে শুরু হয় খননের কাজ। শিশুকে উদ্ধার করতে ২০ ফুট দূরে কুয়ার সমান্তরালে ১৭০ ফুট গভীর সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়। তবে প্রথমে উদ্ধারকারী দল শিশুটিকে টেনে তোলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তা ব্যর্থ হওয়ায় শুরু হয় খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। জেলা প্রশাসন প্রথম থেকেই উদ্ধারকাজে নজরদারি চালায়। শিশুটি যাতে ১৭০ ফুট থেকে আরও নীচে চলে না যায়, সে জন্য ‘জে’ আকৃতির হুক এবং ‘আমব্রেলা বেস’ তৈরি করে আটকে রাখার ব্যবস্থা করে উদ্ধারকারী দল। তারপর ধীরে ধীরে কুয়োর ২০ ফুট দূরের গর্ত দিয়ে কুয়ার মধ্যে প্রবেশ করে তারা। এভাবেই বুধবার উদ্ধার করা হয় চেতনাকে। সূত্র: এনডিটিভি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here