চীনে পাইলটবিহীন যাত্রীবাহী ড্রোনের স্বপ্ন এখন বাস্তব হয়ে উঠেছে। তবে ট্যাক্সির মতো করে এখনই এদের নাগাল না পেলেও, দেশটির গুয়াংজু শহরের আশপাশে ‘ইহাং’ নামক কোম্পানি ড্রোন ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সরকারের বাণিজ্যিক লাইসেন্সের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইহাংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট হি তিয়ানশিং জানিয়েছেন, ‘ভবিষ্যতে আকাশপথে ভ্রমণের সমস্যা কমবে এবং প্রতিটি শহর পাইলটবিহীন যাত্রীবাহী ড্রোনের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে।’
বর্তমানে, ইহাংয়ের দুটি আসনের ‘ইএইচ২১৬-এস’ ড্রোনটি প্রায় ২৫ মিনিট উড়তে সক্ষম, যা আগে থেকে নির্ধারিত একটি রুট অনুসরণ করে। এর আগের মডেল ‘ইএইচ১৮৪’ দেখতে অক্টোপাসের মতো হলেও, এটি মানুষের জন্য ড্রোন পরিবহন প্রযুক্তির একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।
এ প্রকল্পের আওতায় চীন ‘নিম্ন উচ্চতার অর্থনীতি’ ধারণাটি বাস্তবায়ন করছে, যার মাধ্যমে এক হাজার মিটার পর্যন্ত আকাশসীমায় যাত্রীবাহী এবং ডেলিভারি ড্রোনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা হবে। চীনের সরকার এ খাতের উন্নয়নে আর্থিক প্রণোদনা ও লাইসেন্স প্রদান করছে।
অন্যদিকে, চীনের উহান শহরে পাইলটবিহীন ট্যাক্সির ব্যবহার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে প্রায় ৪০০টি ড্রোন ট্যাক্সি চলাচল করছে, যা ভবিষ্যতে এক হাজারে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়েছে। ব্যবহারকারীরা একটি অ্যাপ দিয়ে ট্যাক্সি অর্ডার করতে পারেন, এবং নির্দিষ্ট পিন কোড দিয়ে যাত্রা শুরু করতে পারবেন।
এদিকে, এ ট্যাক্সির পেছনের প্রযুক্তি এতটাই বুদ্ধিমান ও অত্যাধুনিক যে, নিজেদের দেশ থেকে চীনা ও রাশিয়ান চালকবিহীন প্রযুক্তি নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এটি নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। কারণ গাড়ির ভেতরে থাকা সেন্সর ও ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।
চীন অবশ্য এতে চিন্তিত নয়। কারণ তাদের নিজেদের ঘরেই এ ট্যাক্সির লক্ষাধিক গ্রাহক রয়েছে।
এ বছরের শুরুর দিকে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বলেছেন, ‘আমরা বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন নতুন শক্তিচালিত যানবাহন ও নিম্ন উচ্চতার অর্থনীতির মতো শিল্পে আমাদের শীর্ষস্থানীয় অবস্থানকে সুসংহত ও উন্নত করব।’