দিনাজপুরে এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দ্বিতীয় দিনের মতো গতকাল সূর্যের দেখা মেলেনি এ জেলায়। সোমবার ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলেও গতকাল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। শীত বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। ঘন কুয়াশায় অনেক যানবাহন দিনেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এদের বেশিরভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীর ভিড় বেড়েছে। শিশু ও বৃদ্ধদের উষ্ণ পরিবেশে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। শহরের নিমনগর বাসস্ট্যান্ডের দোকানি আব্বাস আলী বলেন, গতকাল হঠাৎ শীত বেশি পড়েছে। ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারপাশ। শীতের কারণে দোকান খুলতে দেরি করেছি। কৃষি শ্রমিক রুবেল ইসলাম বলেন, ঘনকুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে মাঠে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে।
কৃষক মমিনুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে মধ্যরাত থেকে কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে পুরো এলাকা। আলু গাছ নিয়ে টেনশনে আছি। কুয়াশা বেশি হলে গাছ মরে যাওয়ার ভয় থাকে। রিকশাচালক আবদুল মতিন বলেন, কুয়াশা আর শীতের কারণে সকাল সকাল কোনো মানুষ বের হচ্ছে না। রিকশায় লোকজন ওঠে না। আয় কমে গেছে। সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। তবু শীত উপেক্ষা করে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, গতকাল ভোর ৬টায় দিনাজপুর জেলায় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। তাপমাত্রা কমে শীত বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।