সাদা কোল্ড ক্রিমের মতো স্নো এবং কমলালেবুর সুবাসযুক্ত কমলা রঙের পমেড একটা সময় দেখা যেত ঘরে ঘরেই। বাংলাদেশে প্রসাধনী শিল্পের বিকাশের শুরুর দিক থেকেই উৎপাদন চলছে এই দুটি পণ্যের।
চলছে শীতের মৌসুম। কমছে তাপমাত্রার পারদ। ফলশ্রুতিতে আবহাওয়া রুক্ষ হতে শুরু করে। এর প্রভাব থেকে মুক্তি পায় না- কোমল ঠোঁটও। দেখা যায় ঠোঁটকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে। এর ফলে আমাদের ঠোঁট ফেটে যায়, রুক্ষ হয়ে যায়, ঠোঁটের চামড়া উঠে যায় এবং ঠোঁটের ন্যাচারাল কালার হারিয়ে যায়। কড়া রোদে দীর্ঘ সময় থাকা, পানিশূন্যতা, গর্ভাবস্থা, বছরের পর বছর রাত জেগে থাকা, সঠিক সময়ে পুষ্টিকর খাবারের অভাব, ব্র্যান্ডহীন কোম্পানির মাত্রাতিরিক্ত হারে প্রসাধনী ব্যবহার করা প্রভৃতির জন্য ঠোঁট কালো হতে পারে। শীতের সময়ই ঠোঁটের যত্ন নেওয়াটা একটু বেশিই দরকার। এই সময় ঠোঁট ফাটা থেকে শুরু করে ঠোঁটের নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। তাই শীতে ঠোঁটে চাই বাড়তি যত্ন।
শীতের পরিবর্তন কেবল প্রকৃতিতে নয়, নাগরিক কোলাহলেও আমূল বদল আসে। পরিবর্তন আসে প্রসাধনীতেও। কেননা গরমের প্রসাধনীর বদলে এ সময় ব্যবহার করতে হয় শীতের প্রসাধনী। তাই শীতের শুষ্কতা থেকে সুরক্ষায় এই মৌসুমে নিদেনপক্ষে পেট্রোলিয়াম জেলি বা কোল্ড ক্রিম কিনতেই হয়!
বাংলাদেশি প্রসাধনী প্রস্তুতকারক কোহিনূর কেমিক্যালসের ব্র্যান্ড তিব্বতের পণ্যই বেশি জনপ্রিয়। পণ্য হিসেবে তাদের লিপজেলটা বেশ আধুনিক। বারবার ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে বলে প্যাকেজিংটা সেভাবে। তবে শীতে ত্বকের পরিচর্যায় সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত পণ্য বোধ হয় স্নো আর পমেড। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে নাগরিক জীবনে না হলেও গ্রামীণ জীবনে নারীদের রূপচর্চার অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ এই স্নো আর পমেড। আর স্নো, পমেডের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত তিব্বত। সাদা কোল্ড ক্রিমের মতো স্নো এবং কমলালেবুর সুবাসযুক্ত কমলা রঙের পমেড একটা সময় দেখা যেত ঘরে ঘরেই। বাংলাদেশে প্রসাধনী শিল্পের বিকাশের শুরুর দিক থেকেই উৎপাদন চলছে এই দুটি পণ্যের। বাজারে আরও হাজারো আধুনিক পণ্যের ভিড়েও হারিয়ে যায়নি তিব্বত স্নো ও পমেড। তবে এই শীতে আপনার ঠোঁটের যত্নে ভরসা রাখতে পারেন তিব্বত পমেডের ওপর।