ইউক্রেন প্রথমবারের মতো তাদের নৌবাহিনীর ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়ার একটি এমআই-৮ হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে। মঙ্গলবার কৃষ্ণসাগরে ক্রিমিয়ার পশ্চিম উপকূলের কাছে এ হামলা চালানো হয়। ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা জিইউআর জানায়, ‘মাগুরা ভি৫’ ড্রোনের মিসাইল হামলায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় এবং আরেকটি হেলিকপ্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইউক্রেনের গোয়েন্দারা রাশিয়ান পাইলটের রেডিও বার্তা রেকর্ড করেছে। পাইলট আতঙ্কিত হয়ে বলেন, ‘৪৮২, আমি আক্রান্ত, নিচে নামছি!’ তিনি আরও জানান, ‘পানির দিক থেকে মিসাইল ছোড়া হয়। প্রথমটি সরাসরি হিট করেছে। বিস্ফোরণের আঘাতে হেলিকপ্টারের কিছু সিস্টেম বিকল হয়ে গেছে।’
ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ (পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত) হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাপ ইমেজার দিয়ে ধারণ করা ফুটেজে দেখা যায়, রাতের অন্ধকারে একটি উজ্জ্বল হেলিকপ্টার এবং মিসাইল নিক্ষেপের পর তা বিধ্বস্ত হয়ে সাগরে আছড়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মাগুরা ভি৫ ড্রোনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হচ্ছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে ড্রোনটিকে প্রতিরোধের চেষ্টা করা হয়েছিল।
জিইউআর জানায়, এটি ছিল ইউক্রেনীয় নৌ ড্রোনের মাধ্যমে আকাশের কোনো টার্গেট ধ্বংস করার প্রথম ঘটনা। এর আগে ইউক্রেন ক্রিমিয়া উপদ্বীপের রুশ নৌঘাঁটি এবং কৃষ্ণসাগরের রুশ জাহাজগুলোকে নৌ ড্রোন ও মিসাইল হামলার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধন করেছে।
২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর থেকে রাশিয়া সেখানে তাদের প্রধান নৌঘাঁটি সেভাস্টোপোলে স্থাপন করেছিল। তবে সাম্প্রতিক হামলার ফলে রাশিয়া তাদের অধিকাংশ যুদ্ধজাহাজ সেখান থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
এই হামলা ইউক্রেনের সামরিক কৌশলে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে এবং যুদ্ধের ময়দানে রাশিয়ার জন্য আরও চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল