পাবনার চলনবিলসহ বিভিন্ন বিলাঞ্চলে শোভা পাচ্ছে হলুদ রঙের সরিষার ফুল। চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় এবার সরিষা আবাদে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। নতুন জাতের সরিষাসহ বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। এবার সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন সরিষা চাষিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর জেলায় ৪৫ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪৪ হাজার ৯ শ’ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। ৬৬ হাজার ৮শ’ ৮৭ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাবনায় বারী-৯, ১৪, ১৫, ১৭ ও ১৮ এবং বিনা-৪, ৯ ও ১১ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। প্রতি বিঘা সরিষা আবাদে সার- বীজসহ উৎপাদন খরচ হয় ৩ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা উৎপাদন হয় ৫ থেকে ৬ মণ। বর্তমানে হাট-বাজারে প্রতিমণ সরিষার দাম ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।
চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল বাঘলবাড়ি গ্রামের কৃষক উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ‘এ বছর উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৩ বিঘা জমিতে বারি সরিষা-১৪ আবাদ করেছি। ইতিমধ্যে ফুলে-ফলে মাঠ ভরে গেছে। আশা করছি ফলন ভাল হবে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, সরকার ভোজ্য তেলের ওপর আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে আগামী বছরের মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগ তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের কৃষি প্রণোদনা প্রদানের পাশাপাশি নানাভাবে সহযোগিতা করছে।