মঙ্গলকে নতুন পৃথিবী বলে ডাকতে চান ইলন মাস্ক

0

মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক মঙ্গল গ্রহকে নতুন নামে পরিচিত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তার মতে, মঙ্গল গ্রহের নাম হওয়া উচিত ‘নিউ ওয়ার্ল্ড’ বা নতুন পৃথিবী। ১৪৯২ সালে ক্রিস্টোফার কলম্বাস যখন আমেরিকা আবিষ্কার করেন, তখন এই মহাদেশকেও ‘নিউ ওয়ার্ল্ড’ নামে ডাকা হতো। মাস্কের এই নামকরণ প্রস্তাব আসলে মানবজাতির ভবিষ্যৎ রক্ষার এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি।

ইলন মাস্ক মনে করেন, মানবসভ্যতার টিকে থাকার জন্য মঙ্গল গ্রহে স্থায়ী ও টেকসই মানববসতি গড়ে তোলা অপরিহার্য। তিনি একাধিকবার উল্লেখ করেছেন, পৃথিবী যদি কোনো দিন বিপদে পড়ে, তবে মঙ্গল হতে পারে মানবজাতির নিরাপদ আশ্রয়। তিনি চান, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই মঙ্গল গ্রহে ১০ লাখ মানুষের একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সমাজ গড়ে তোলা হোক।  

মাস্কের মালিকানাধীন মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স ইতোমধ্যেই মহাকাশ গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। তিনি দাবি করেন, স্পেসএক্সের তৈরি রকেটগুলোর সাহায্যে এত বড় সংখ্যক মানুষকে মঙ্গলে পাঠানো সম্ভব।  

সম্প্রতি ইলন মাস্ক তার সাবেক টুইটার (বর্তমান এক্স) অ্যাকাউন্টে মঙ্গলের কিউরিওসিটি রোভারের একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিতে মঙ্গলের গেল ক্রেটার নামের একটি বিশাল খাদে রোভারের অবস্থান দেখা যায়। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘মঙ্গল গ্রহকে নতুন বিশ্ব বলা হবে, যেমনটি আগে আমেরিকাকে ডাকা হয়েছিল। এটি এক বিশাল অনুপ্রেরণামূলক অ্যাডভেঞ্চার।’  

ইলন মাস্ক দীর্ঘদিন ধরেই মঙ্গলে টেকসই মানববসতি তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার মতে, মঙ্গলে উপনিবেশ গড়তে পারলে তা মানবজাতির জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। যদিও এই প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে মাস্কের আত্মবিশ্বাস ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এই কাজকে সম্ভব করে তুলতে পারে।  

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলে মানুষের স্থায়ী বসতি গড়ে তোলার এই পরিকল্পনা শুধু বিজ্ঞানের নয়, মানবতার ভবিষ্যৎ রক্ষার এক দুর্দান্ত পদক্ষেপ।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here