থার্টি ফার্স্ট নাইটে থাকছে না উন্মুক্ত আয়োজন

0

থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা নতুন বছরের আগমন কেন্দ্র করে কক্সবাজারে এবারও তেমন আয়োজন নেই। আগে থার্টি ফার্স্ট নাইট কেন্দ্র করে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে নানা আয়োজন থাকত। করোনা মহামারি থেকে বন্ধ রয়েছে প্রকাশ্যে থার্টি ফার্স্ট উদযাপন। তবুও থার্টি ফার্স্ট এবং বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে ও নতুন বছরের সূর্যোদয় দেখতে কক্সবাজার সৈকত এবং আশপাশের পর্যটন এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে প্রত্যাশা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের। এদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা। থাকছে না আতশবাজি বা ফটকা ফোটানো। আতশবাজি ও পটকা ফোটানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো. তানভীর হোসেন বলেন, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বিবেচনায় এবারও বিচে বা অন্য কোনো খোলা স্থানে অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের থার্টি ফার্স্টসংক্রান্ত মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে পর্যটকরা চাইলে নিজেদের মতো করে নতুন বছর উদযাপনে মাঝরাত পর্যন্ত বিচে ঘুরতে পারবেন। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কয়েকটি টিম মাঠে থাকবে। কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটক-দর্শনার্থী মিলে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করা যায়।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অধিকাংশ হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউসের কক্ষ শতভাগ বুকিং রয়েছে। টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এবারও সৈকতের উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফার্স্ট নাইটের আয়োজন থাকছে না। উচ্ছৃঙ্খল আচরণ থেকে বিরত থাকতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বর থেকে কয়েক স্তরের বিশেষ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here