দক্ষিণ কোরিয়ার জিওলা প্রদেশের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৮১ জন আরোহীর মধ্যে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় দমকল বাহিনীর ধারণা, উড়োজাহাজটিতে এ দুজন ছাড়া ১৭৯ জনের কেউ-ই আর বেঁচে নেই। তবে এখনো উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানা যায়নি।
মুয়ান ফায়ার সার্ভিসের প্রধান লি জিয়ং-হিউন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ব্রিফিংয়ে বলেন, দমকল বাহিনীর ধারণা পাখির ধাক্কা এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এ দুর্ঘটনার আগে একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে রহস্য বাড়ছে।
মাঝ আকাশের সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানটি অবতরণের ঠিক আগেই ডান দিকের ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছে। আর তা থেকেই সন্দেহ বাড়ছে কোনও পাখির ধাক্কা লেগেছিল ইঞ্জিনে। আর তার জেরেই ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা তৈরি হয়েছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে।
যদিও সরকারি ভাবে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। তবে পাখির ধাক্কার তত্ত্বই জোরালো হচ্ছে এই দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে। সে রকমই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসায় সন্দেহ আরও দৃঢ় হচ্ছে। যদিও তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোনও মন্তব্যই করতে চায়নি দক্ষিণ কোরিয়া প্রশাসন।
উড়োজাহাজটিতে মোট ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয় জন ক্রু ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর দুই জন থাই নাগরিক ছিলেন। সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, উড়োজাহাজের বেশিরভাগ আরোহী নিহত হয়েছেন। বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত মাত্র দুই যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
সূত্র : ডেইলি মেইল ও আনন্দবাজার পত্রিকা।