গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপিতে যোগ দেন ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ.কে অ্যান্থনির ছেলে ও কংগ্রেস নেতা অনিল অ্যান্থনি। একদিন পর শুক্রবার বিজেপিতে নাম লেখালেন অন্ধ্রপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সিনিয়র কংগ্রেস নেতা কিরণ কুমার রেড্ডি। এদিন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রলহাদ যোশীর হাত ধরে বিজেপিতে নাম লেখান রেড্ডি। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তেলেঙ্গানার বিজেপি সাংসদ ড. লক্ষন।
সেদিক থেকে পরপর দুই দিন শতাব্দীর প্রাচীন দল কংগ্রেস ছেড়ে দুই শীর্ষ নেতার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঘটনা কংগ্রেসের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
এদিকে কেবল মাত্র কিরণ কুমার রেড্ডিই নন, এর আগেও বিভিন্ন সময়ে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন একাধিক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন আরেক সাবেক কংগ্রেস নেতা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। ২০২১ সালে কংগ্রেস ত্যাগ করে ‘পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস’ নামে নতুন দল গঠন করেন অমরিন্দর। কিন্তু হাত বছরের সেপ্টেম্বরে নিজের হাতে গঠন করা দলকে বিজেপির সাথে মিশিয়ে দেন এই সিনিয়র কংগ্রেস নেতা।
এর আগে ২০১৭ সালের মার্চে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এস.এম.কৃষ্ণা। ১৯৯৯ সালের অক্টোবর থেকে ২৯৯৪ সালের মে পর্যন্ত কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এস.এম.কৃষ্ণা।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেস ছেড়ে দ্বিতীয় বারের জন্য বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন গোয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাত। এর আগে প্রথমবার কংগ্রেস ছেড়ে তিনি বিজেপিতে নাম লেখান ১৯৯৪ সালে।
২০১৬ সালের মে মাসে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখান উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুনা। সে সময় বউ গুলোর সাথেই আরও ৮ জন কংগ্রেস বিধায়ক যোগদান করেন গেরুয়া শিবিরে।
এছাড়াও ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখন্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ দত্ত তিওয়ারি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।