এবার দীর্ঘ নয় বছর আগের একটি সাক্ষাৎকারের জেরে রাজতন্ত্র অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত হচ্ছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। দেশটির এটর্নি জেনারেল বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
নয় বছর আগে তিনি কোরিয়ান একটি সংবাদপত্রকে ওই সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। তার ওপর ভিত্তি করে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হচ্ছে। থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্রের আইনে তিনিই সর্বোচ্চ পদমর্যাদার ব্যক্তি যিনি এই অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছেন।
জানা গেছে, থাইল্যান্ডে এই আইন ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বীদের প্রতি ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু গত চার বছরে এ আইনে কয়েক শত মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত বছর যখন তিনি দেশে ফেরেন তখন মনে হয়েছিল তার পরিবার এবং দেশটির রক্ষণশীল গোষ্ঠীগুলোর মধ্যকার রাজনৈতিক তিক্ত বিরোধিতার ইতি ঘটেছে। তার কিছু বিরোধীকে সঙ্গে নিয়ে থাকসিনের দলকে জোট সরকার গঠনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সংস্কারবাদী তরুণদের দল মুভ ফরোয়ার্ডকে দূরে রাখা হয়। অথচ এই দলটি ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট এবং আসন পেয়েছে। কিন্তু ৭৪ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিনকে বিতর্কিত আইনের অধীনে অভিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত এটাই বলে দেয় যে, এখনও থাইল্যান্ডে কর্তৃত্ব পর্যায়ে তার শত্রু আছে। তিনি নির্বাসনে থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালে কোরিয়ার একটি পত্রিকাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। তাতে তিনি ২০১৪ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে সহায়তা করার জন্য রাজার শীর্ষ অ্যাডভাইজরি বডি, প্রাইভি কাউন্সিলকে দায়ী করেন। ওই অভ্যুত্থানে তার বোন প্রধানমন্ত্রী ইয়লাক সিনাওয়াত্রা ক্ষমতাচ্যুত হন। ২০১১ সালের জাতীয় নির্বাচনে ইংলাক নির্বাচিত হয়েছিলেন। অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর আগে তিন বছর থাইল্যান্ডকে নেতৃত্ব ইংলাক। সূত্র: বিবিসি